1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
সাজিদ আবদুল্লাহ মৃত্যুতে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি হাটশ হরিপুরে ভোরের পাখি আয়োজিত চায়নাবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়া পৌরসভায় বেতন ও বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ গড়াই নদ খননে ড্রেজারের কোটি টাকার তেল আত্মসাতের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে চলছে বিভাগীয় তদন্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভাবিকে ধর্ষণ, দেবর নাইম কারাগারে ঝিনাইদহের আলোচিত তিন খুনের মামলায় শীর্ষ চরমপন্থী লিপটন রিমান্ডে শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর তিন হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার সাংবাদিক হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানবাধিকার সমিতির মানববন্ধন
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

একাত্তরের বিষয়গুলো মিটিয়ে ফেললে সামনে এগিয়ে যেতে পারি : ড. ইউনূস

  • আপডেট টাইমঃ শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬৪ মোট ভিউ
একাত্তরের বিষয়গুলো মিটিয়ে ফেললে সামনে এগিয়ে যেতে পারি : ড. ইউনূস
একাত্তরের বিষয়গুলো মিটিয়ে ফেললে সামনে এগিয়ে যেতে পারি : ড. ইউনূস

পাকিস্তানের সঙ্গে যাতে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া যায় সে জন্য একাত্তর সালের অসমাপ্ত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলো বারবার উঠে আসছে। আসুন এগুলো মিটিয়ে ফেলি যাতে, আমরা সামনে এগোতে পারি।”
বৃহস্পতিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা শেহবাজকে এ কথা বলেন।
ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মুহাম্মদ ইউনূস এখন কায়রোতে রয়েছেন। এর ফাঁকে একটি হোটেলে তারা বৈঠকে বসেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠককালে এই দুই নেতা চিনি শিল্প ও ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
একাত্তর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি (বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে) বিষয়গুলো সমাধান করেছে, ‘কিন্তু যদি অন্য কোনো অসমাপ্ত বিষয় থাকে, তবে তা খতিয়ে দেখতে তিনি আগ্রহী’।
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের স্রোতধারা পেরিয়ে পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। সে সময় গণহত্যা চালানোর জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনাসহ অনিষ্পন্ন বিভিন্ন বিষয় এখনো রয়ে গেছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এগুলো চিরতরে সমাধান করা ভালো হবে।”
ইউনুস ও শেহবাজ বাণিজ্য, ব্যবসা বাড়ানো এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি ইউনুসের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষিত পররাষ্ট্রনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনুস তার সরকারের পরিকল্পনা হল ‘অত্যাবশ্যক সংস্কার’ বাস্তবায়ন করা এবং ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি বলেন যে, তিনি সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য একটি ‘ঐক্যমত গঠন’ কমিশনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের আহ্বান জানান।
“আমরা সত্যিই আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী,” বলেন শেহবাজ।
তিনি সার্ক পুনরুজ্জীবনের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের উদ্যোগ এবং এই আঞ্চলিক সংস্থাটির শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনার নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানান।
ইউনূস বলেন, “এটি একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার।”
“আমি সার্কের ধারণার একজন বড় ভক্ত। আমি বারবার এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। আমি চাই, এমনকি একটি ছবি তোলার জন্য হলেও সার্ক নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন হোক, কারণ এটি একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।
তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং ডেঙ্গু মোকাবিলায় পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে বলে জানান।
শেহবাজ বলেন, “প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবের ডেঙ্গু প্রতিরোধের লড়াইকে বিশ্বমানের হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারি।”
মুহাম্মদ ইউনুস তার সমর্থনের জন্য শেহবাজ শরিফকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং দার তা গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে সুবিধাজনক সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com