1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

কমলা হ্যারিস যে ৫ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ মোট ভিউ
কমলা হ্যারিস যে ৫ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন
কমলা হ্যারিস যে ৫ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন

সারা বিশ্বের চোখ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির মসনদ আগামী চার বছর কে সামলাবেন তা নির্ধারিত হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। মূলত ‘সুইং স্টেট’ অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয়।

হোয়াইট হাউসে কে যাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা এখনো করা যাচ্ছে না। জাতীয় পর্যায়ের জরিপ ও নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো নিয়ে করা জরিপে কারো তেমন এগিয়ে থাকার প্রমাণ পাওয়ানি। দুই জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

প্রধান এই দুই প্রার্থীর একজন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি যে ৫ কারণে জয়ী হতে পারেন, তা তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কালবেলা অনলাইনের পাঠকদের জন্য সেই কারণগুলো তুলে ধরা হলো।

কমলা ট্রাম্প নন :

ট্রাম্প নানা কারণে আলোচনায় থাকেন। অনেক দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও এখন তিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব, যাকে নিয়ে মোটাদাগে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। বলা হয়, ডানপন্থি ট্রাম্পের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মেরুকরণ বেড়েছে। ২০২০ সালে ট্রাম্প যত ভোট পেয়েছিলেন, তা ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে রেকর্ড সর্বোচ্চ। কিন্তু ৭০ লাখের বেশি মার্কিন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে বাইডেনকে সমর্থন দেওয়ায় ট্রাম্প হেরে যান।

এবার নির্বাচনের প্রচারণায় কমলা নিয়েছেন দারুণ এক স্ট্যাট্রেজি। ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে কী হতে পারে, সেই ভয় দেখিয়েই ভোটারদের আকর্ষণের চেষ্টা করছেন তিনি। ট্রাম্পকে তিনি একজন ফ্যাসিস্ট ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করছেন। এ ছাড়াও ‘নাটকীয়তা ও সংঘাত’ পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কমলা।

গত জুলাইয়ে রয়টার্স/ইপসোসের করা এক জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, প্রতি পাঁচজন মার্কিনের চারজনই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কমলার আশা, ভোটাররা বিশেষ করে মধ্যপন্থি রিপাবলিকান ও নিরপেক্ষ ভোটাররা তাকে এমন প্রার্থী হিসেবে দেখবেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থিতিশীল পরিবেশ এনে দিতে পারবেন।

কমলা বাইডেনও নন :

এবারও গত নির্বাচনের মতো ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে গত জুলাইয়ে বাইডেন ঘোষণা দেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না। বাইডেনের লড়াই থেকে বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটরা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল, যখন মনে করা হচ্ছিল, আসন্ন নির্বাচনে দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। কিন্তু ট্রাম্পকে পরাজিত করার সম্মিলিত যে বাসনা, সে তাড়না থেকে ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হয়ে কমলার পাশে এসে দাঁড়ান। আচমকা প্রার্থী হওয়ার পরও কমলা হ্যারিস শুরুটা করেন দারুণভাবে। কমলা ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দলটি যেন গতি ফিরে পায়। কিছুটা মুষড়ে পড়লেও কমলার দূরদর্শী বক্তব্য ডেমোক্র্যাট ঘাঁটিতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আশাবাদের সঞ্চার করে।

রিপাবলিকানরা বাইডেনের অজনপ্রিয় নীতির সঙ্গে কমলার নাম জুড়ে তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বাইডেনকে ঘিরে দলটির অনেক আক্রমণকে নিছক অপ্রয়োজনীয় হিসেবে তুলে ধরেছেন কমলা।

নারী অধিকার :

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট নারীদের গর্ভপাতের অধিকারসংক্রান্ত একটি মামলার রায় দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে এই প্রথমবারের মতো এমন রায় দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে।

যারা নারীদের গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা করতে চান এবং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এমন ভোটাররা এবার কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দিচ্ছেন। বিগত নির্বাচনেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে ২০২০ সালে হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলা যেতে পারে। সেই নির্বাচনে গর্ভপাতের বিষয়টি বড় হয়ে উঠেছিল এবং নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ করা যায়।

জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রায় ১০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে গর্ভপাতের বিষয়টি থাকবে। এর মধ্যে অন্যতম সুইং বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনাও আছে। ব্যালটে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, গর্ভপাতের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকা উচিত কি না। এতে কমালা হ্যারিসের পক্ষে বেশি ভোট পড়তে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি। এ কারণেও নারীরা এবার কমলা হ্যারিসকে ভোট দিতে পারেন।

ভোট দেওয়ার মানুষ বেশি :

এক জরিপে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে এবং বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের মধ্যে কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা বেশি। আর এসব ভোটারদের মধ্যে এবারের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রবণতাও বেশি। ভোটারদের যে অংশে ভোটদানের হার বেশি, সেই অংশে ভালো করেন ডেমোক্র্যাটরা। আর ভোট কম দেন এমন ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন বেশি, যেমন তরুণ ও স্নাতক ডিগ্রি নেই এমন ভোটার।

নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের এক জরিপে দেখা গেছে, গত নির্বাচনে ভোট দেননি- এমন নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প বেশি জনপ্রিয়। ফলে এবার বড় প্রশ্ন, এই ভোটাররা কি এবার ভোট দেবেন?

তহবিল সংগ্রহ বেশি, ব্যয়ও বেশি :

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আর এখন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছর। কিন্তু অর্থ ব্যয়ের প্রশ্নে কমলা হ্যারিস সবার চেয়ে এগিয়ে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন। কিন্তু কমলা তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন গত জুলাইয়ে প্রার্থী হওয়ার পর। কিন্তু ট্রাম্পের চেয়ে দেড় বছর পর তহবিল সংগ্রহ শুরু করলেও তার চেয়ে বেশি তহবিল তুলেছেন কমলা। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞাপনে ট্রাম্পের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যয় করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com