উইমেন ডেস্ক: সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১, ২৭ আশ্বিন ১৪২৮ |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনিয়া আক্তার নামে এক তরুণীর (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ১টার দিকে শহরের কাউতলী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে। তবে পুলিশের ধারণা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় তার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্সের পদে যোগদান করেন। এর পাশেই রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদ গ্রামে।
গত দুইবছর যাবত সোনিয়া ও শীতলের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি শীতল জানতে পারে সোনিয়ার আরও একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহ থেকে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। রবিবার সন্ধ্যায় তারা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করে। এসময় সোনিয়াকে আরও একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা বলার পর শীতলের সাথে কথা কাটাকাটি চলে।
কথাকাটির এক পর্যায়ে সোনিয়াকে থাপ্পড় দেয় শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে চালে দেওয়ার কেরির বড়ি ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় প্রেমিক শীতলকে আটক করেছে পুলিশ।
সোনিয়ার মামা মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করেছে নাকি শ্বাসরুদ্ধকরে করে হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালের কেউ আমাদের কিছু এখনো জানায়নি এবং মর্গেও তারা কেউ আসেনি। আমরা ভাগ্নির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি সে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply