কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ঃ
আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার, গরু চোরাচালান ও কোরবানির চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ৪৭ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্যও সীমান্তে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় স্থানে মোবাইল টিম ও ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রাগপুর বিজিবি ক্যাম্পে এক মিডিয়া ব্রিফিং এ কুষ্টিয়া বিজিবি’র ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এসব কথা জানান।
মিডিয়া ব্রিফ্রিং এ তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে বলে সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশের কোনো যৌক্তিকতা নেই। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এবছর প্রায় এক কোটি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে দেশীয় খামারগুলোতে।
দেশীয় খামারিদের স্বার্থ রক্ষা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল, অস্থায়ী চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি এবং বিশেষ অপারেশন চালু করেছে বিজিবি।

৪৭ বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ঈদের ছুটিতে জনগণ যেন নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে কাজ করছে তারা। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ পুশ ইন প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফ’র সঙ্গে পতাকা বৈঠক, লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিজিবি’র এসব পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দেশের জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক ঈদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান আরো জানায়, সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদকদ্রব্যসহ চোরাকারবারি আটকের ঘটনা বিজিবি’র দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সফল দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।