1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
হাটশ হরিপুরে ভোরের পাখি আয়োজিত চায়নাবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়া পৌরসভায় বেতন ও বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ গড়াই নদ খননে ড্রেজারের কোটি টাকার তেল আত্মসাতের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে চলছে বিভাগীয় তদন্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভাবিকে ধর্ষণ, দেবর নাইম কারাগারে ঝিনাইদহের আলোচিত তিন খুনের মামলায় শীর্ষ চরমপন্থী লিপটন রিমান্ডে শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর তিন হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার সাংবাদিক হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানবাধিকার সমিতির মানববন্ধন মিরপুরে গৃহবধু সুমাইয়াকে হত্যা করে  আত্মহত্যার নাটক সাজানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে

  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৪ মোট ভিউ
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। গার্মেন্টস মালিকরা বায়ারদের নির্ধারিত সময়ে শিপমেন্ট করতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে করে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন শিল্পমালিকরা। তারা আশঙ্কা করছেন, সংকট অব্যাহত থাকলে নারায়ণগঞ্জে অনেক গার্মেন্টস লোকসানের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১১৫১টি গার্মেন্ট রয়েছে। স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল ২১টি। টেক্সটাইল ৪৩৮টি। ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং কারখানা ১১৬টি। এক্সেসরিজ তৈরির কারখানা ১২০টি। জেলায় সব ধরনের মোট কারখানার সংখ্যা ৪২২১টি। এছাড়াও হোসিয়ারি ২৪৮০টি, টেক্সটাইল ৩০টি, নিটিং ৫৬টিসহ সর্বমোট ২ হাজার ৭২১টি অরেজিস্ট্রিকৃত কারখানা রয়েছে। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লাতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস কারখানা। বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ধুঁকছে রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত গার্মেন্টস শিল্প।
ইপিলিয়ন গ্রুপের শ্রমিক হৃদয় জানান, আগে আমরা নির্ধারিত সময় কাজ করেও ওভারটাইম করে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করতে পারতাম। গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যার কারণে এখন ওভারটাইম তো দূরের কথা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কাজ করতে পারি না। আগে দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ টাকা আয় হতো এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের জাহিন নিট ওয়্যার অ্যান্ড ডাইংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, গ্যাসের ব্যবহার বেশি হচ্ছে ডাইংয়ে। গার্মেন্টসে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি। বর্তমানে গ্যাস বিদ্যুতের সংকটের কারণে আমাদের উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি অর্ডারও কমে যাচ্ছে। বর্তমানে লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের কাজের পরিধিও কমে গেছে। আগে আমরা ওভারটাইম করাতে পারতাম। এখন ওভারটাইমও প্রায় বন্ধ। শ্রমিকদের আয়ও আগের তুলনায় কমেছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটের কারণে সময় মতো শিপমেন্ট দিতে পারছি না।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের যে বিষয়টি এটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। এই সমস্যা নিরসনে হয়তো একটু সময় লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করলে এটা সমাধান করতে পারবে। বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পের পরিবেশ অশান্ত করতে আন্তর্জাতিক নানা ইন্ধন আছে। এগুলো মোকাবিলা করে এগুতে পারলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।
ইউনিটি নিট কম্পোজিটের জিএম (ডাইং) রাজীব আহাম্মেদ বলেন, কখনো কখনো এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, গ্যাস একেবারেই থাকে না জিরো পিএসআই থাকে। তখন ডাইং ফিনিশিং কিছুই চলে না। শুধু গ্যাসই নয় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়েরও মারাত্মক অবস্থা। এক ঘণ্টা থাকলে আরেক ঘণ্টা থাকে না। আমাদের গ্যাসের বিলও দিতে হচ্ছে বিদ্যুতের বিলও দিতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, মেশিনে রং দেওয়া হয়েছে কিন্তু তখন যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে মেশিন শাটডাউন হয়ে পুরো রংটাই নষ্ট হয়ে যায়। তখন সেটা ঠিক করতে ডাবল কস্ট লাগে। গার্মেন্টসগুলো কোনোরকম চললেও ডাইংগুলো গ্যাস বিদ্যুৎ না থাকলে চালানো অসম্ভব। এক্সপোর্ট সাধারণত একটা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে করতে হয়। করতে না পারলে গার্মেন্টসগুলো ডিসকাউন্ট খাচ্ছে। আমরা বেতন দিতে পারছি না। ওভারটাইম দিতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে সেটা ভেবে পাচ্ছি না।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমানে গ্যাস বিদ্যুৎ নিয়ে চরম সংকটে রয়েছি। বিগত সরকারের আমলে যখন গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি করা হলো তখন কথা ছিল আমাদেরকে আনইন্টারেপ্টেড পর্যাপ্ত গ্যাস দিবে। এজন্যই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু সত্য হলো আমরা বর্ধিত দামেও পর্যাপ্ত গ্যাস পাইনি। বর্তমানে কোন কোন এলাকায় তো গ্যাস একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কারণেও আমরা অনেক সমস্যায় ভুগছি। বর্তমান সরকারকে আমরা বলেছি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান করতে। গ্যাস বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন ৫০ ভাগে নেমে এসেছে। কোন কোন স্থানে উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমেছে। অঞ্চলভেদে গ্যাসের সংকট রয়েছে যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি। সাভারের ওই সাইডটাও ভুক্তভোগী। দেখা যায়, আমাদের এক্সপোর্টের একটা টাইম লিমিটেশন রয়েছে। টাইম লিমিটেশনে শিপমেন্ট ফেল করলে যেটা হয় বায়ার আমাদের কাছে হয় ডিসকাউন্ট দাবি করে নয়তো এয়ার শিপমেন্ট করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি হয়। তবে এটা হলো ইনস্ট্যান্ট ক্ষতি। আর লংটার্ম যে ক্ষতি সেটা হচ্ছে যে, বায়ার আমার উপর আস্থা হারানোর পর আমাকে আর অর্ডার দিবে না। তখন সে হয়তো বাংলাদেশেই অন্য কারো কাছে যাবে নয়তো দেশের বাইরে অন্য কোথাও যাবে।
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, আমরা যে কয়েকটা সমস্যা চিহ্নিত করেছি তার মধ্যে ১নং কারণ হচ্ছে গ্যাস বিদ্যুতের সংকট। এটা নিয়ে যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা যায় তাহলে হয়তো ইমিডিয়েট সমাধান পেতে পারি, যদিও এটা সমাধানে লংটার্ম সময় লাগবে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনে সরবরাহ করা হলে গ্যাস সংকটের সমাধান কিছুটা হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com