কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পাঁচ মিনিটের ঝোড়ো বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে জিনারি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা।
শুক্রবার রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিসহ ঝোড়ো বাতাস ওই অঞ্চলে আঘাত হানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিনারি ইউনিয়ন ও সিদলা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। এতেই শুরু হয় তাণ্ডব। উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। আমন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ঝড়ে উপজেলার নামা জিনারির কেরামত আলীর পুরোনো বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, পেঁপে, আম, জাম ও কাঁঠাল গাছ ভেঙেছে। খাপাড়ার আব্দুর রশিদের বসতঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘর, পরিবারের লোকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গাবরগাঁও গ্রামের জেসমিন আক্তার পুষ্পর রান্নাঘর, গাছপালা, আওয়াল মিয়ার পুরোনো বসতঘরসহ অনেক পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও গাবরগাঁও, নামা জিনারী, হলিমা, ডাকরিয়া, বেলতলা, টেকাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
নামা জিনারির বাসিন্দা মো. শামসুল হক বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। চোখের পলকেই গাছপালা ও বাড়িঘর ভাঙতে থাকে। গ্রামের অনেক বাসিন্দার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মাসুদ রানা বলেন, জিনারি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় রাতে ঝড়ের কারণে পোল ভেঙে যায় ও লাইনের ওপরে গাছপালা পড়ায় ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। আমাদের টিম সচল করার চেষ্টা করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, রাতের আকস্মিক ঝোড়ে জিনারি ইউনিয়নে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেওয়া হবে।
Leave a Reply