উইমেন ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে। আজ রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ওই কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে শ্রাবণের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি। তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য পদধারী নেতা হওয়ায় এমন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী পরিবারের সদস্য হলেও প্রথম থেকেই শ্রাবণ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
এমনকি ভিন্ন রাজনৈতিক চেতনার হওয়ায় শ্রাবণের সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদের সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন তার বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি শ্রাবণ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছে। তবে তার সঙ্গে আমাদের পরিবারের কারও সম্পর্ক নেই। ১৬ বছর ধরে সে আমাদের বাড়িতে আসে না এবং যোগাযোগও নাই।’
জানা গেছে, শ্রাবণের বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার মেজো ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেজো ভাই কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। এরকম একটি পরিবারের সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নানারকম আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, ‘রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও শ্রাবণ ছাত্রকাল থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে দোষের কিছু নেই। শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে, এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই সম্মেলনে ভোটে হেরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনীত হন।
Leave a Reply