সত্যখবর ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক লাঞ্ছনা ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। এ সময় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার দাবি করেন।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন কোনো নিয়োগ না দেওয়ার দাবিতে তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু অছাত্র গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দেয়। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবিতে রবিবার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তবে কোনো সুরাহা না করায় আমরা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।
শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাঞ্ছনার বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। সেই সময় শেষ হয়েছে তাই আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আমি শুনেছি একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তবে আমরা এখনো পর্যন্ত সেটা অফিশিয়ালি পাইনি।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন ও অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, উপাচার্যের কার্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদানের জন্য তদন্ত কমিটি করেছেন উপাচার্য। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সজীব আলীকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন-আইন অনুষদের ডিন অধ্যপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যপক ড. আতিকুর রহমান ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ে বহিরাগত ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের লাঞ্ছনা ও গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন দুপুরে মানববন্ধন করে শাপলা ফোরাম। এরপর রবিবার শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন দোষীদের বিচার না করলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
Leave a Reply