জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ সোমবার দুটি নতুন ও দুটি সংশোধিত প্রকল্প উঠছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে একনেকের দ্বিতীয় সভা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টার দপ্তরের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
আরও আটটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি, তবে মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হবে না।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্ষমতার পালাবদলের পর ১৮ সেপ্টেম্বর একনেকের প্রথম সভা হয়। সেদিন আগের সরকারের আমলে ‘রাজনৈতিক কারণে’ নেওয়া প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা ও ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রকল্প থেকে সরে আসার কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সেই সভায় ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে দুটি ছিল দুটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের।
‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ‘দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দলপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্পে’ ৫৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ এর জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ইউনিসেফের অনুদান।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়, দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যয় পুনঃ প্রাক্কলন করার নির্দেশনা দিয়ে অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রকল্পটিতে দুই বছরের জন্য ১৬৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যয়ও কমানো হবে।
Leave a Reply