উইমেন ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং দায়ের কোপে শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্ন করার দায়ে জামাতাকে ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ঘটনার আট বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আসামি শামসুল আলমের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। শাশুড়ি হত্যার দায়ে ৩০ বছর এবং শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্ন করার অপরাধে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শামসুল আলম ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের মৃত জহির আহম্মদ মিস্ত্রীর ছেলে।
নিহতের স্বামী ও মামলার বাদী আবদুল গফুর বলেন, ‘শামসুল আলম আমার মেয়ের স্বামী ও আমার প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরেই প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা এবং আমার ছোট মেয়ের হাত বিচ্ছিন্ন করে শামসুল। এ নিয়ে আমি মামলা করি। দীর্ঘ আট বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে মামলার রায় দেওয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, হত্যা ও হত্যাচেষ্টা আইনের তিনটি ধারায় শামসুল আলমকে পৃথকভাবে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হাত বিচ্ছিন্ন করার দায়ে ১০ বছর এবং হত্যার দায়ে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। শামসুল আলমকে মোট ৪০ বছরই কারাভোগ করতে হবে। আদালতের রায়ে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।
Leave a Reply