1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
বিপুল পরিমান চায়না দুয়ারি এবং কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। ৭ বিয়ে করা সেই রবিজুল মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার কনের পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট সাজিদ আবদুল্লাহ মৃত্যুতে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি হাটশ হরিপুরে ভোরের পাখি আয়োজিত চায়নাবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়া পৌরসভায় বেতন ও বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ গড়াই নদ খননে ড্রেজারের কোটি টাকার তেল আত্মসাতের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে চলছে বিভাগীয় তদন্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভাবিকে ধর্ষণ, দেবর নাইম কারাগারে
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

কমলা হ্যারিস যে ৫ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৪ মোট ভিউ
কমলা হ্যারিস যে ৫ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন
কমলা হ্যারিস যে ৫ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন

সারা বিশ্বের চোখ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির মসনদ আগামী চার বছর কে সামলাবেন তা নির্ধারিত হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। মূলত ‘সুইং স্টেট’ অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয়।

হোয়াইট হাউসে কে যাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা এখনো করা যাচ্ছে না। জাতীয় পর্যায়ের জরিপ ও নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো নিয়ে করা জরিপে কারো তেমন এগিয়ে থাকার প্রমাণ পাওয়ানি। দুই জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

প্রধান এই দুই প্রার্থীর একজন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি যে ৫ কারণে জয়ী হতে পারেন, তা তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কালবেলা অনলাইনের পাঠকদের জন্য সেই কারণগুলো তুলে ধরা হলো।

কমলা ট্রাম্প নন :

ট্রাম্প নানা কারণে আলোচনায় থাকেন। অনেক দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও এখন তিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব, যাকে নিয়ে মোটাদাগে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। বলা হয়, ডানপন্থি ট্রাম্পের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মেরুকরণ বেড়েছে। ২০২০ সালে ট্রাম্প যত ভোট পেয়েছিলেন, তা ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে রেকর্ড সর্বোচ্চ। কিন্তু ৭০ লাখের বেশি মার্কিন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে বাইডেনকে সমর্থন দেওয়ায় ট্রাম্প হেরে যান।

এবার নির্বাচনের প্রচারণায় কমলা নিয়েছেন দারুণ এক স্ট্যাট্রেজি। ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে কী হতে পারে, সেই ভয় দেখিয়েই ভোটারদের আকর্ষণের চেষ্টা করছেন তিনি। ট্রাম্পকে তিনি একজন ফ্যাসিস্ট ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করছেন। এ ছাড়াও ‘নাটকীয়তা ও সংঘাত’ পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কমলা।

গত জুলাইয়ে রয়টার্স/ইপসোসের করা এক জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, প্রতি পাঁচজন মার্কিনের চারজনই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কমলার আশা, ভোটাররা বিশেষ করে মধ্যপন্থি রিপাবলিকান ও নিরপেক্ষ ভোটাররা তাকে এমন প্রার্থী হিসেবে দেখবেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থিতিশীল পরিবেশ এনে দিতে পারবেন।

কমলা বাইডেনও নন :

এবারও গত নির্বাচনের মতো ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে গত জুলাইয়ে বাইডেন ঘোষণা দেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না। বাইডেনের লড়াই থেকে বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটরা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল, যখন মনে করা হচ্ছিল, আসন্ন নির্বাচনে দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। কিন্তু ট্রাম্পকে পরাজিত করার সম্মিলিত যে বাসনা, সে তাড়না থেকে ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হয়ে কমলার পাশে এসে দাঁড়ান। আচমকা প্রার্থী হওয়ার পরও কমলা হ্যারিস শুরুটা করেন দারুণভাবে। কমলা ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দলটি যেন গতি ফিরে পায়। কিছুটা মুষড়ে পড়লেও কমলার দূরদর্শী বক্তব্য ডেমোক্র্যাট ঘাঁটিতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আশাবাদের সঞ্চার করে।

রিপাবলিকানরা বাইডেনের অজনপ্রিয় নীতির সঙ্গে কমলার নাম জুড়ে তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বাইডেনকে ঘিরে দলটির অনেক আক্রমণকে নিছক অপ্রয়োজনীয় হিসেবে তুলে ধরেছেন কমলা।

নারী অধিকার :

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট নারীদের গর্ভপাতের অধিকারসংক্রান্ত একটি মামলার রায় দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে এই প্রথমবারের মতো এমন রায় দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে।

যারা নারীদের গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা করতে চান এবং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এমন ভোটাররা এবার কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দিচ্ছেন। বিগত নির্বাচনেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে ২০২০ সালে হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলা যেতে পারে। সেই নির্বাচনে গর্ভপাতের বিষয়টি বড় হয়ে উঠেছিল এবং নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ করা যায়।

জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রায় ১০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে গর্ভপাতের বিষয়টি থাকবে। এর মধ্যে অন্যতম সুইং বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনাও আছে। ব্যালটে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, গর্ভপাতের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকা উচিত কি না। এতে কমালা হ্যারিসের পক্ষে বেশি ভোট পড়তে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি। এ কারণেও নারীরা এবার কমলা হ্যারিসকে ভোট দিতে পারেন।

ভোট দেওয়ার মানুষ বেশি :

এক জরিপে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে এবং বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের মধ্যে কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা বেশি। আর এসব ভোটারদের মধ্যে এবারের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রবণতাও বেশি। ভোটারদের যে অংশে ভোটদানের হার বেশি, সেই অংশে ভালো করেন ডেমোক্র্যাটরা। আর ভোট কম দেন এমন ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন বেশি, যেমন তরুণ ও স্নাতক ডিগ্রি নেই এমন ভোটার।

নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের এক জরিপে দেখা গেছে, গত নির্বাচনে ভোট দেননি- এমন নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প বেশি জনপ্রিয়। ফলে এবার বড় প্রশ্ন, এই ভোটাররা কি এবার ভোট দেবেন?

তহবিল সংগ্রহ বেশি, ব্যয়ও বেশি :

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আর এখন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছর। কিন্তু অর্থ ব্যয়ের প্রশ্নে কমলা হ্যারিস সবার চেয়ে এগিয়ে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন। কিন্তু কমলা তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন গত জুলাইয়ে প্রার্থী হওয়ার পর। কিন্তু ট্রাম্পের চেয়ে দেড় বছর পর তহবিল সংগ্রহ শুরু করলেও তার চেয়ে বেশি তহবিল তুলেছেন কমলা। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞাপনে ট্রাম্পের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যয় করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com