স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার ও ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজ দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সংক্রমণ কমে আসছে। নিয়ন্ত্রণের এ ধারাটি অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার বয়স্কদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। জাহিদ মালেক বলেন- এ মাসে দেশে আরও ১ কোটি ডোজ টিকা আসছে। এ পর্যন্ত দেশের প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ৫০ লাখের বেশি মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। তিনি বলেন-ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব বাজারে একটা রাজনীতি আছে। আমরা ভাগ্যবান যে শুরুতেই টিকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং পেয়েছি। আমরা অনেকভাবে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। কোভ্যাক্স থেকে আমরা টিকা পাচ্ছি আবার নিজেরাও কিনছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে হলে ২৬ থেকে ২৭ কোটি টিকা লাগবে। এত টিকা আমরা একসঙ্গে পাব না, রাখতেও পারব না। ওই কারণে যখন যে টিকা পাওয়া যায়, সেটা আমরা আমরা আনার চেষ্টা করছিবৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে আর শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংক্রমণ কমিয়ে আনা ছাড়া উপায় নেই।
Leave a Reply