1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

কলকাতায় থেকে ঢাকার বৈশাখ নিয়ে যা বললেন মিথিলা

  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ৯৪ মোট ভিউ

বিনোদন ডেস্ক:আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয় বাঙালিরা। বৈশাখের প্রথম দিনে ঢাকার রমনা বটমূলে বর্ষবরণ আয়োজন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা পরিণত হয়েছে জাতীয় উৎসবে। অনেকের মতো অভিনেত্রী ও গায়িকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলাও এসব আয়োজনে অংশ নেন, উল্লাস-আনন্দে মেতে ওঠেন।

তবে এ বছর সেটা হচ্ছে না। কারণ তিনি কলকাতায় স্বামীর বাড়িতে। তাই রমনার বটমূলের স্মৃতি উঁকি দিচ্ছে তার মনে। যদিও লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে সেজেছেন, কিন্তু পহেলা বৈশাখের পূর্ণ স্বাদ তো কলকাতায় বসে পাওয়া সম্ভব নয়। সে কথাই অকপটে জানালেন মিথিলা।

অভিনেত্রী বলেন, এবার আমি এপার বাংলায়। বিয়ের পর এ বছরই আমি পহেলা বৈশাখে প্রথম শ্বশুরঘরে। এবারও আমি উঠে পড়ব কাকডাকা ভোরে। স্নান সেরে, খোলা চুলে, লাল পেড়ে সাদা খোলের শাড়িতে। কপালে লাল টিপ। বাংলা নতুন বছরের নতুন সূর্যের মতোই লাল টকটকে! কিন্তু পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ ভাজা থাকবে না। থাকবে না ঢাকার দিগন্তবিস্তৃত রমনা পার্ক। যার বটমূলে ভোর থেকে নানা জেলার শোভাযাত্রা এসে জমায়েত হয়। যেখানে গোটা ঢাকা শহর পাত পেড়ে বসে যায় পান্তা-ইলিশ খেতে। কলকাতা, তুমি কি আমায় দিতে পারবে আমার দেশের রমনা বটমূলের স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি?

কলকাতার একটি গণমাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিশেষ লেখা দিয়েছেন মিথিলা। সেখানেই তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ জাতীয় স্তরের উৎসব। এক সপ্তাহ ধরে চলে তার প্রস্ততি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা রাত জেগে বানান নানা ধরনের মুখোশ, পোস্টার, লতা-পাতায় সাজানো ফেস্টুন। সেই সব নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ভোর থেকে। সবার পরনে লাল পাড়, সাদা শাড়ি। কপালজুড়ে টিপ। গলায়, ‘এসো হে বৈশাখ গান’। সংসদ ভবনের সামনের লম্বা রাস্তা জুড়ে দেশের সবচেয়ে বড় আল্পনা। রমনা মাঠ-সহ সমস্ত উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পান্তা-ইলিশ পর্ব। বন্ধু, পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার পরে বাড়ি ফিরে দুপুরে রকমারি ভর্তা দিয়ে ভাত। এগুলো যে না দেখেছে, সে বুঝবে না এর ভিতরে কতখানি শান্তি, তৃপ্তি লুকিয়ে।

মেয়ে আইরাকেও বৈশাখী সাজ শিখিয়েছেন জানিয়ে মিথিলা বলেন, আমার মেয়ে দুই বাংলার নববর্ষ দেখতে দেখতে বড় হচ্ছে। শিখেছে, ইংরেজির ১২ মাসের মতোই বাংলাতেও ১২ মাস রয়েছে। আর বাঙালির আছে ১২ মাসে তেরো পার্বণ। সেই পার্বণের শুরু পহেলা বৈশাখ দিয়ে। মেয়েকে আমার মতো করেই সাজতে শিখিয়েছি। আগামীতে পহেলা বৈশাখের ভোরে আইরার সাজেও যাতে থাকে লাল পেড়ে ঢাকাই শাড়ি। কপালে লাল টিপ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com