কুমিল্লায় পৃথক স্থান থেকে এক নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত রোববার রাত ও আজ সোমবার সকালে সদর দক্ষিণ, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর উপজেলার দহশালা শাকচর গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন (৪৭) ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন পূর্বপাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম (৫০)। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খাল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের গায়ে জ্যাকেট ছিল। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তবে তদন্ত ছাড়া আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, লাকসাম উপজেলার হোটেল ড্রিমল্যান্ড থেকে আলতাফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করতেন। মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি। তার পরিবার আসছে। তবে আমরা এখনো জানি না তিনি এখানে কীভাবে এলেন এবং কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে মনোহরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন হোসেন বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রোববার রাত দেড়টার দিকে মনোহরগঞ্জের বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশ থেকে কমলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। গত রাতে স্থানীয়রা তার লাশ পেয়ে পুলিশে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কীভাবে তার মৃত্যু হলো এবং এত রাতে তিনি কেন এখানে এলেন তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply