কুষ্টিয়া আদালতে দুই পক্ষের দফায় দফায় হট্টগোল-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালতের তিন কর্মচারী আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে চেয়ার-টেবিল। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মহসিন নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মহাসিন নামে এক ব্যক্তিকে অপমান, অপদস্ত ও মারধর করে আদালতের কর্মচারীরা। পরে তার পরিচিতজনরা কর্মচারীদের মারধর করে ও ভাংচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। এ ঘটনায় মহসিনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে আদালত পুলিশ।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের সেরেস্তাদার ও কর্মচারীদের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। এতে রাকিব, রাসেল ও জহুরুল ইসলামে তিনজন কর্মচারী আহত হয়েছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আদালত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, মহাসিন নামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাবরক্ষক মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে আসেন এবং টাকা নিয়ে তর্কে জড়ান। এসময় মহসিনের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের হট্টগোল হয়। এর জেরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহসিন বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কর্মচারীদের মারপিট করেন।
আদালতের হিসাবরক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, মোকাদ্দেস আলীর একটি চেক আছে। সেই চেকটি মহসিন নামে ওই ব্যক্তি তার কাছে দিতে বলেন। এতে আমি মোকাদ্দেস আলীর চেক তার হাতেই দিব এমনটি বলার সাথে সাথে হট্টগোল ও মারধর করে আমাদের।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ ব্যাপারে আদালত পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তারা।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
Leave a Reply