কুষ্টিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ১৭ হাত উচ্চতা বিশিষ্ট শ্রী শ্রী কালী মায়ের ৪৪তম পূজা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০১ মার্চ ) কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ায় কালী পূজা মন্ডপ মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড.নীল রতন কুন্ডু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিঃ জাকির হোসেন সরকার।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাবেক সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং মেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ, আমলাপাড়া সার্বজনীন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুদ্ধুদেব কুন্ডু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য আল আমিন রানা কানাই, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মঈন বাবুল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জি: আশরাফুল করিম শাওন, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাম্মন সংসদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত বাগচী, আমলাপাড়া সার্বজনীন মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট অঘোর কুমার সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জাকির হোসেন সরকার বলেন, আমাদের সরকারের আমলে এই পূজা মন্দিরের উন্নয়ন গুলো হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে হিন্দু মুসলমান ভাই হিসাবে আমরা যেভাবে একসাথে মিলে মিশে আছি, বাংলাদেশ তথা এই কুষ্টিয়া তারই উদাহরণ। আমাদের বাংলাদেশের ভূখণ্ড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কখনোই কোন উস্কানি দিয়ে এখানে কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আপনারা জানেন পলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন মীরজাফর।
সে কিন্তু ছিলো মুসলমান আর মীর মদন মোহন লাল তারা ছিলেন সনাতনী হিন্দু।
তারা কিন্তু মুসলমান নবাবের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন এই জন্য আমাদের যারা যতোই বিভক্তির কথা বলুক আমরা সেই বিভক্তিতে কখনো যাবো না। আমরা চায় সবাই মিলে এক সাথে বেচে থাকতে। এক সাথে এই দেশটাকে গড়তে। আপনার এই মূর্তিটা দেখছেন তার হাতে বেশ কিছু মাথা আছে, এই মাথা গুলো কোন ভালো মানুষের মাথা না। যারা অন্যায় করেছে, যারা অসুর, যারা খারাপ কাজ করেছে তাদের কিন্তু নিধন করা হয়েছে। প্রতিটা ধর্মের কথা বলা হয় যারা অন্যায় করে তাদের দমন করতে হবে। যারা ভালো কাজ করে তাদের লালন করতে হবে।
Leave a Reply