কুষ্টিয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছে জেলা বিএনপি। আজ সোমবার বেলা দেড়টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নিচে ফটকের পাশে এটি স্থাপন করেন বিএনপির কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক কুতুব উদ্দীন আহমেদ ও সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার। শহরের আরও কয়েকটি স্থানে এমন বাক্স বসানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রেসক্লাবের আবদুর রাজ্জাক মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাংবাদিকদের জাকির হোসেন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর আমরা কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দায়িত্ব পেয়েছি। এরপর বিভিন্ন সময়ে জেলার বালুমহাল নিয়ে অভিযোগ এবং নিউজ হয়েছে। তবে সরাসরি দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নই। আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিন।’
অভিযোগ বক্সের বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, এই বাক্সে যেকোনো ব্যক্তি নির্ভয়ে নিজেদের অভিযোগ লিখিতভাবে জানাতে পারবেন। এর মাধ্যমে যেকোনো উপজেলার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো যাবে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত এবং রাজনীতিকে ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বা আধিপত্য দেখায় এমন বিষয়ে অভিযোগ নেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে সাংবাদিক ও উপস্থিত জনগণের সামনে বাক্স খোলা হবে। এতে দেওয়া প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সরকারি দপ্তরে চাপ দিয়ে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন। আজ স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমার দলের মধ্যে কেউ যদি এমন কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর বিষয়ে যেন অভিযোগ দেন। আমরা এই অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখব। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দল থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। কাউকে ছাড় দেওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন সরকার বলেন, দলের দু-একজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। কোনো নেতা সরাসরি জড়িত থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে দল তাঁর দায় নিতে পারে। তবে কোনো পদে ছিল, এমন ব্যক্তির দায় দল নেবে না।
Leave a Reply