মোঃ ইয়ামিন হাসান শুভ স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র এনএস রোডে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনে ‘মুস্তাকের পান’ নামের একটি দোকান স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আসা পানের ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন স্বাদের ও মসলার সমন্বয়ে তৈরি এই পানের খিলি ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের রুচি ও সামর্থ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মুস্তাকের পানের বিশেষত্ব হলো এর বৈচিত্র্যময় মসলার ব্যবহার ও স্বাদের অভিনবত্ব। এখানে পাওয়া যায় মিষ্টি, ঝাল, সাচি, কর্পূরীসহ নানা ধরনের পান, যা প্রতিটি খিলিকে করে তোলে অনন্য। এই বৈচিত্র্য ও স্বাদের জন্যই কুষ্টিয়া ও আশেপাশের জেলা থেকে মানুষ ছুটে আসে মুস্তাকের পানের স্বাদ নিতে।
দোকানের মালিকে মুস্তাক আহমেদের ভাই তুহিন বলেন,
“আমাদের পানের বিশেষত্ব হলো আমরা বিশুদ্ধ ও উন্নত মানের উপকরণ ব্যবহার করি। প্রতিটি পান তৈরি করি যত্নের সাথে, যাতে খেতে একেবারে পারফেক্ট লাগে। আমাদের এখানে সব ধরনের পান পাওয়া যায়—মিষ্টি পান, ঝাল পান, সাচি পান, এমনকি বিশেষ মসলার পানও। এজন্য শুধু কুষ্টিয়া নয়, আশপাশের জেলা থেকেও অনেক ক্রেতা আসেন।”বাজারে অনেক দোকান থাকলেও আমাদের পান আলাদা স্বাদের জন্য বিখ্যাত। যারা একবার খায়, তারা বারবার ফিরে আসে। অনেক সময় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমাদের পান খেতে আসে, এতে আমাদেরও ভালো লাগে।”কুষ্টিয়া জেলা বরাবরই পান চাষের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলের পানের সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছেছে। দৌলতপুর উপজেলার পান ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট কুষ্টিয়া শহরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট, ব্যাংক ও অফিস রয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুস্তাকের পানের খিলি কেবল একটি খাবার নয়, বরং এটি কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন। এর স্বাদ ও বৈচিত্র্য স্থানীয়দের পাশাপাশি ভ্রমণকারীদের কাছেও সমানভাবে আকর্ষণীয়, যা কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ পানের ঐতিহ্যকে আরও বিস্তৃত করেছে।
Leave a Reply