সত্যখবর ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় যুবক মিলনের ১০ টুকরো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৪ আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও রাজি হননি হত্যায় নেতৃত্ব দেয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীবসহ দুই জন। সোমবার পর্যন্ত ওই দুইজনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানিও হয়নি। আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ঠিক করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জনকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠিয়েছেন সদর আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা। এরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার দেশওয়ালী পাড়ার বাসিন্দা কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন হোসেন (২৩), হাউজিং সি ব্লক ২৫৩নং বাড়ির বাসিন্দা আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান (১৯), আড়ুয়াপাড়া হরিবাসর মোড়ের ২২৯নং বাড়ির বাসিন্দা মৃত: মিলন সেখের ছেলে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা এসকে সজীব (২৪), সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের বাসিন্দা রফিক প্রামানিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ (১৯), কুমারগাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) এবং হাউজিং এস্টেট ডি ব্লকের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো: সজল ইসলাম (১৯)।
সদর আদালতের জিআরও এসআই ইস্কান্দার জানান, এরমধ্যে সজিব ও ইফতি ব্যাতীত বাকী ৪জন আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ সোহেল রানা বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ৬ আসামিকে একযোগে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী অথবা ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। এরমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়া সজীব ও ইফতির রিমান্ড শুনানি সোমবার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আদালত মঙ্গলবার এ শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি নিখোঁজ হন যুবক মিলন। তিন দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি পদ্মার চর থেকে মিলনের ১০ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করেন নিহতের মা শেফালি খাতুন।
Leave a Reply