সত্যখবর ডেস্ক: আগামী ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা প্রশিক্ষক হাচিবুর রহমান তারেক এর বিরুদ্ধে। ঘুষের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসারদের ডিউটি না দিয়ে অপ্রশিক্ষিত আনসার নিয়োগ ও উতকোচ গ্রহনের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যগণ অভিযোগ করে বলেন, বেশির ভাগই অপ্রশিক্ষিত আনসারদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে শর্টগান এর মতো ভারি অস্ত্র। প্রশিক্ষন প্রাপ্ত না হলে ঘটতে পারে মারাত্বক দূর্ঘটনা। এধরনের অপ্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে পাঠানো হবে নির্বাচনী ডিউটিতে।
সুত্র বলছে, গত জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য নিয়োগকৃত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিলো ১ থেকে ১৫০০ হাজার টাকা, আবার কারো কারো কাছে ২ হাজার টাকা। ঠিক একই পন্থায় আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪১ টি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ২১২৬ জন আনসার নিয়োগ করা হয়। এ নিয়োগকৃত আনসার সদস্যের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় হাচিবুর রহমান তারেক ঘুষ বাবদ নিয়েছেন ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা। তারা আরো বলেন হাচিবুর রহমান তারেক এ উপজেলায় দির্ঘ পাঁচ বছর থাকায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার করেছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করেছে। আমরা সবদেখেও কিছুই বলতে পারিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার সদস্য বলেন, গত বছর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারগণ হাচিবুর রহমান তারেক এর দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি বরং তাদের পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে বিপদে ফেলার চেস্টা করেছে ঐ কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন চাকুরীতে বদলি থাকলেও তিনি অদৃশ্য ক্ষমতায় বদলী না হয়ে এখানে দীর্ঘদিন চাকুরী করে আসছেন।
অর্থ লেনদেনের অভিযোগ শিকার না করে দৌলতপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও প্রশিক্ষক হাচিবুর রহমান তারেক বলেন, এবার দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ হাজার ১২৬ জন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এরা সবাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
এদিকে এই সংবাদ না করার অনুরোধে প্রতিবেদককে চাপে ফেলতে বিভিন্ন মহল থেকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানানো হয়।
Leave a Reply