আলমগীর মন্ডল: কুষ্টিয়ার মিরপুরে তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় মিরপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ এস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়। নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হয়। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন ও নামাজের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র দাবদাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তাঁরা।
নামাজে উপস্থিত মুসল্লীরা বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ, কলে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য সবাই দোয়া করেছেন।
সুলতানপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক,ও জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সে কারণে তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন।
নামাজে ইমামতি করেন, সুলতানপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা শওকত ইমরান। তিনি বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তাঁরা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
Leave a Reply