সত্যখবর ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম এবং তার স্ত্রী মোছাঃ বানু ইসলাম এর প্রতি পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে বুধবার অত্র কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান এর স্বাক্ষরে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
দুদকের পাঠানো নোটিশে হাজী রবিউল ইসলাম এবং তার স্ত্রী মোছাঃ বানু ইসলাম ছাড়াও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে। বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়েছে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদকে এ বিবরণী দাখিল করতে হবে।
দুদক, কুষ্টিয়ার তথ্য অনুযায়ী এ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সাইদুর রহমান হাজী রবিউল ইসলামের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয় হতে সে এবং তার স্ত্রীর নামে পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী আদেশ জারীর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য যে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারা অনুযায়ী “কমিশন কোন তথ্যের ভিত্তিতে এবং উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান পরিচালনার পর যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যক্তি বা তাঁহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি, বৈধ উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রহিয়াছেন বা মালিকানা অর্জন করিয়াছেন, তাহা হইলে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়-দেনার বিবরণ দাখিলসহ উক্ত আদেশে নির্ধারিত অন্য যেকোনো তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিতে পারবে
দুদক, কুষ্টিয়া কর্তৃক প্রেরিত সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে যেনির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হইলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করিলে উপরিউক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপধারা (২) মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
দুদক আইন অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দাখিল করলে উক্ত ব্যক্তি ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
দুদক, কুষ্টিয়ার তথ্য অনুযায়ী, উল্লিখিত ব্যক্তি কর্তৃক সম্পদ বিবরণী দাখিলের পর উক্ত সম্পদ বিবরণী যাচাই করে মিথ্যা তথ্য এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেলে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ভীন্ন ভীন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হবে।
Leave a Reply