উইমেন ডেস্ক: বুধবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৪ ভাদ্র ১৪২৮
কুষ্টিয়া র্যাব-১২ এর সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল মঙ্গলবার ৩১ আগস্ট ভোর রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর সুবর্ণা রাইস মিলের মালিক আলী জিন্নাহর চার তলা ভবনের চতুর্থ তলায় অভিযান চালিয়ে তার ছেলে সুমনের শয়ন কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৩৫৪ পিস ইয়াবা, যার মূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ ৭৭ টাকা, ১৪ গ্রাম হেরোইন, যার আনুমানিক মূল্য- ৫৬ হাজার টাকাসহ আলী জিন্নাহর ছেলে সুমন আহমেদ (২১)কে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এরই প্রতিবাদে গত তিন দিন ধরে সুমনের পক্ষ নিয়ে কুষ্টিয়া শহর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও শেষ গত মঙ্গলবার খাজানগর এলাকায় মানববন্ধন করেন তার পিতা জিন্না। উক্ত মানববন্ধনে তার পরিবার বলেন, সুমন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র তাকে সুকৌশলে তার বাড়িতে মাদক রেখে ফাসানো হয়েছে। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত তার মুক্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন পরপর তিনদিন।আইন সবার জন্য সমান যেহেতু তার নিজ বাড়িতে তার নিজ কক্ষ থেকে ঐসকল মাদক গুলো উদ্ধার করেছে প্রশাসন। খাজানগর বাসিন্দাদের মুখ থেকে জানা গেছে- সুবর্ণা রাইস মিলের মালিক জিন্নাহর পরিবারটি মাদকের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই সম্পৃক্ত। তারা আরো জানায়- ইতিপূর্বে জিন্নাহ আলীর আরেক ছেলে রাজিব অস্ত্র ও মাদক সহ একাধিকবার আটক হয় র্যাব ও পুলিশের হাতে। আইনের ফাঁক ফাঁকোর দিয়ে বেড়িয়ে এসে আবার চালাতে থাকে তাদের মাদক ব্যবসা।
বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া র্যাব প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ওই মাদক ব্যবসায়ী পরিবার। এলাকাবাসী আরও জানান তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আরও খবর নিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে। প্রশাসনকে বিতর্কিত করতে গত তিন দিন ধরে ওই মাদক ব্যবসায়ী পরিবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীরা আরো বলেন, কালো টাকা ও দলের ছত্র ছায়ায় থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চালানো তাদের এই অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা কোন দিনও কি বন্ধ হবে না।
Leave a Reply