উইমেন ডেস্ক:কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকার মতিন হাইস্কুলের নিকটে একটি কলারখেত থেকে অগ্নিদগ্ধ নারী সজনী খাতুনের (২৮) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত লালন মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। সজনী খাতুন পাশের মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া রানাখড়িয়া এলাকার সিরাজুল হকের মেয়ে। ঘাতক লালন ১৬ দাগ এলাকার সলিম উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের পর সজনীর মা সালেহা, বাবা সিরাজুল এবং চাচি আইরিন পরিচয় সনাক্ত করেন।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত সজনীর মা বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে লালনের সঙ্গে সজনীর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন যাবত স্বামী লালন স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সজনী পালিয়ে বাবার বাড়ি যান।১৬ ফেব্রুয়ারি লালন নিজে গিয়ে একপ্রকার জোর করেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে সে সজনীর মাকে জানায় সজনীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার একদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি সজনীর অগ্নিদগ্ধ বিকৃত মরদেহ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা-দৌলতপুর সার্কেল ইয়াসির আরাফাত এবং ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, নিখোঁজ সজনীর স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করার পর স্বামী লালন লাশটি সজনীর নয় বলে দাবি করে। এতে পরিচয় শনাক্ত নিয়ে জটিলতা হয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্বামীকে। এরপর পুলিশ স্ত্রী হত্যার সন্দেহে অভিযুক্ত স্বামী লালনকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করে।মরদেহ মুখ ও শরীরের প্রায় অংশই পুড়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত বলেন, পরিচয় গোপন করতেই ওই নারীকে নৃশংসভাবে পোড়ান হতে পারে।
Leave a Reply