1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

কুষ্টিয়ায় কুড়িয়ে পাওয়া টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২
  • ৭৬ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১৮ হাজার টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিলেন এক শিক্ষা কর্মকর্তা। সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে নিজ কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে মালিককে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তার নাম মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। আর কুড়িয়ে পাওয়া টাকার মালিক মো. মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদরাসার সুপার।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সোফার ওপর একটি টাকার বান্ডিল পড়েছিল। ওই কর্মকর্তা বান্ডিলটি হাতে নিয়ে দেখেন, সেখানে ১৮ হাজার টাকা রয়েছে। পরে কুড়িয়ে পাওয়া টাকার প্রকৃত মালিকের সন্ধানে ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

এরপর সোমবার সকালে ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন মাদরাসার সুপার। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দেখালে সুপারের হাতে টাকা তুলে দেন উপজেলার জ্যেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। রোববার সকালে বিশেষ কাজে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার সুপারদের শিক্ষা কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল।

পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোববার এ মাসের বেতনের টাকা তুলেছিলাম। একটি বিশেষ কাজে শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিছু সময় সোফায় বসেছিলাম। এরপর বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখি পকেটে টাকা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও টাকা পাচ্ছিলাম না। খুব খারাপ লাগছিল। পরে ফেসবুকে টাকার সন্ধান পাই। তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে আজ হারানো টাকা ফিরে পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, টাকা পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। আজকাল হারানো টাকা ফিরে পাওয়া দুষ্কর। ওই কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার দুপুরে অফিসের সোফার ওপর থেকে ১৮ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। প্রকৃত মালিকের সন্ধানে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় মাদরাসার সুপার মিজান সাহেব ফোনে তার টাকা হারানোর কথা জানিয়েছিল। সোমবার সকালে প্রমাণ দেখিয়ে তিনি টাকা নিয়ে যান। প্রকৃত মালিককে টাকা ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শরিফুল সাহেব একজন সৎ, বিনয়ী, দক্ষ ও পরিশ্রমী অফিসার। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে তিনি সততার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com