ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ক্যাম্প ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক চোর ও এক ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউপির কচুবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কচুবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে বৈদ্যুতিক মোটর (সেচ পাম্প) চুরি করার অভিযোগে ভেড়ামারা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ফারাকপুর মহল্লার সামছুলের ছেলে স্বপনকে (২২) আটক করে এলাকাবাসী গণপিটুনি শুরু করে। এমন সংবাদ পেয়ে আমলা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই হাফিজুর রহমান, এএসআই কামরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সন্দেহজনক চোরকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাইলে মারধরে অংশ নেওয়া জনতা ঘটনাস্থলেই চোরের বিচারের জোর দাবি জানান। কিন্তু পুলিশ সন্দেহজনক চোরকে নিয়ে ক্যাম্পের উদ্দেশে যেতে চাইলে বিক্ষুদ্ধ জনতা চোরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আমলা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই হাফিজুর রহমান, এএসআই কামরুজ্জামান, কন্সটেবল জামিরুল ও সাইফুল আহত হন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কচুবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে মোটর চুরির সময় স্থানীয়রা এক চোরকে আটক করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারসহ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, কচুবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয়রা একজন চোরকে ধরে গণপিটুনী শুরু করে। সেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ এক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে আটক করেছে।
Leave a Reply