উইমেন ডেস্ক: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজন গরু চোরকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া জনাব মোঃ খাইরুল আলম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ভেড়ামারা সার্কেল জনাব মোঃ ইয়াছির আরাফাত এর তত্তাবধায়নে এবং জনাব এস. এম. জাবীদ হাসান অফিসার ইনচার্জ, দৌলতপুর থানার নেতৃত্বে এস আই (নিঃ) মিরাজুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ইং ১০/০২/২০২২২ খ্রিঃ তারিখ ১৪:৪৫: ঘটিকার সময় আল্লার দর্গা বাজারে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারেন যে, দৌলতপুর থানাধীণ কল্যানপুর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ নূরুল ইসলাম @ নুরু কসাই এর বাড়ীর গোয়াল ঘরে চোরাই গরু আছে।
যার ০১ (এক) টি বড় গাভী গরু, যাহার গায়ের রং কালো, শিং দুইটি নিচের দিকে বাকানো, মাথা এবং পেটের নিচের দিকের অংশ সাদা, পায়ের অংশ সাদা, মূল্য অনুঃ ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা। ০১ (এক) টি বকনা গরু সাদা কালো রং এর, শিং দুইটি খাড়া, মাথার উপর অংশ সাদা এবং লেজের অংশ সাদা, মূল্য অনুঃ ৬৫,০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা। ০১ (এক) টি ছোট এড়ে বাছুর, যাহার গায়ের রং কালো, পেটের নিচে সাদা এবং পায়ের অংশ সাদা, মূল্য অনুঃ ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা, সর্ব মোট ১,৭৫,০০০/- (একলক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা।
উক্ত সংবাদের বিষয়টি দৌলতপুর থানার এস আই (নিঃ) মিরাজুল ইসলাম উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া ঘটনার সত্যতা যাচাই এর জন্য সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ দৌলতপুর থানার জিডি নং-৪৬১, তাং-১০/০২/২০২২ ইং মূলে ১৫.১০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌছালে উক্ত বাড়ীর মালিক আসামী নূরুল ইসলাম @ নূরু কসাই সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে এস আই (নিঃ) মিরাজুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় তাকে ধৃত করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামী নূরু ইসলাম জানায় যে, উক্ত গরু ০৩ (তিন) টি তিনি পলাতক (১) মোঃ কামরুল ইসলাম (৬০), পিং-মৃত রুপচাঁদ হোসেন, সাং-মাদাপুর (প্রাগপুর), (২) মোঃ মহিউদ্দিন @ মহির শেখ (৩৫), পিং-নূরুল @ জটু, সাং-চরদিয়াড়, (৩) মোঃ নাসির উদ্দিন (৪৬), পিং-মোঃ নাজিম সরদার, সাং-কল্যানপুর, (৪) মোঃ সামসুল হক (৪২), পিং-মোজা খা, সাং-কল্যানপুরগন, সর্ব থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া আসামীদের সহযোগিতায় রাজশাহীর বাঘা সহ বিভিন্ন এলাকায় হইতে চুরি করিয়া বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তাহার গোয়াল ঘরে এনে রেখেছে।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আসামীর গোয়াল ঘরে ০৩ (তিন) টি চোরাই গরু বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে গোয়াল ঘরে রাখা আছে। স্থানীয় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে যায় যে, উক্ত গরু ০৩ (তিন) টিকে তাহারা এর আগে আসামীর বাড়ীতে দেখেন নাই। স্থানীয় সাক্ষীদের সম্মূখে ইং ১০/০২/২০২২ তারিখ ১৫.৩৫ ঘটিকার সময় গরু ০৩ (তিন) টি চোরাই উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে এস আই (নিঃ) মিরাজুল ইসলাম জব্দ করেন। এ সংক্রান্তে দৌলতপুর থানার মামলা নং -১২, তারিখ- ১১/০২/২০২২, ধারা-৩৭৯/৪১৩/১০৯ পেনাল কোড-১৮৬০ এ নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
Leave a Reply