1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র আড়াই বছর ধরে অচল

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৮৩ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক:মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৬ আশ্বিন ১৪২৮ |
কক্ষের ভেতরে কাপড় দিয়ে যত্ন করে ঢেকে রাখা আছে যন্ত্রটি। পাশের দেয়ালে ছোট্ট একটি কাগজ সাঁটানো। তাতে লেখা অচল।জানতে চাইলে কক্ষে দায়িত্বরত ব্যক্তি আবুল খায়ের বললেন, এটা এক্স-রে মেশিন। নতুন যন্ত্র বসানোর কয়েক মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এক্স-রে করানো যাচ্ছে না। এ জন্য অচল লিখে রাখা হয়েছে।
২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্রটি। সেটি দুই বছর পাঁচ মাস ধরে বিকল। তাই হাসপাতালে আসা রোগীদের বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এ জন্য গুনতে হচ্ছে তিন–চার গুণ বেশি টাকা।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল ৫০০ এমএ এক্স-রে যন্ত্রটি বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপাতালে এই যন্ত্রটি স্থাপন করে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চালুর পর ২০১৯ সালের ৭ মার্চ থেকে যন্ত্রটির ফিল্ম প্রিন্ট করার অংশে সমস্যা দেখা দেয়।সেটি মেরামতের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে। তাদের প্রকৌশলীরা একবার এসে যন্ত্রটি মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে যন্ত্রটি সচল করতে পারেননি তাঁরা।
পরে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাম) আবুল খায়ের বলেন, এত বড় হাসপাতালে তিনি একাই এক্স-রে করেন। আরও কয়েকটি এক্স-রে যন্ত্র আছে। সেগুলো দিয়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এক্স-রে করা যায়। কিন্তু হাসপাতালের সবচেয়ে দামি ও ভালো এক্স-রে যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের দাম ৩০ লাখ টাকার বেশি। এটি স্থাপনের পর এক–দেড় বছর চলেছিল। সচল থাকলে আরও বেশি এক্স-রে করা সম্ভব হতো। এতে গরিব রোগীদের সুবিধা হতো।হাসপাতাল সূত্র বলছে, দামি এই যন্ত্রটি মেরামতের জন্য বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ চিঠি দেওয়া হয়েছিল গত ১২ জুলাই। সেটির জবাব এসেছে গত সোমবার। তাতে অচল এক্স-রে যন্ত্রটির বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
সেই তথ্য জানিয়ে আবার চিঠি পাঠাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগের নারী ও পুরুষ কাউন্টারে রোগীর ভিড়। তাঁদের বেশির ভাগই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। টিকিট কেটে তাঁরা চিকিৎসকের কক্ষে যাচ্ছেন। অনেককেই ডিজিটাল এক্স-রে করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা ছুটছেন বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দিকে।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন,এক্স-রে যন্ত্রটি মেরামতের জন্য আমার আগের তত্ত্বাবধায়কও একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আমি আসার পর আবার চিঠি পাঠিয়েছিলাম। জবাবে তারা কিছু তথ্য চেয়েছে, সেগুলো পাঠানো হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ যন্ত্রটি সচল করা সম্ভব হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com