নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকার একটি বাসা সামিয়া আক্তার সোহা (১৫) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় বাসার টয়লেট থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীর মা ঊর্মি আক্তার মুক্তাকে উদ্ধার করা হয়। আহত মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ঊর্মি আক্তার মুক্তা রাজবাড়ি জেলার বাড়িগ্রামের বাসিন্দা শামীম আহম্মেদের স্ত্রী। শামীম মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানিতে চাকরি করেন।
নিহত কিশোরীর বাবা শামীম আহম্মেদ জানান, প্রতিদিনের মতো রাতের ডিউটি শেষে সকাল সাড়ে ৬টায় বাসায় ফিরে দেখি ভেতর থেকে দরজা আটকানো। অনেক চেষ্টার পর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি আমার মেয়ে মৃত অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে। আর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় টয়লেটের ভেতর পড়ে আছে।
বাড়ির মালিক মহসিন বেপারী জানান, এ বাড়ি নতুন তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত নতুন বাড়িতে স্থানান্তর হইনি। কয়েকটি রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। গত তিন দিন আগে মেঘনা গ্রুপের শামীম আহম্মেদ বাসা ভাড়া নেন। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। কিশোরীর মৃত্যু আর মায়ের আহতের কথা শুনে এখানে এসেছি।
সোনারগাঁ থানার এসআই পঙ্কজ কান্তি সরকার জানান, একটি কিশোরী কন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই স্থান থেকে তার মাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার সঠিক তথ্য জানা যাবে।
Leave a Reply