দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। দলের ওপেনিং ব্যাটার সাইম আইয়ুব গুরুতর গোড়ালির চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। স্ট্রেচারে করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তবে চোটের মাত্রা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে রায়ান রিকেলটনের ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসা একটি বল স্লিপের মধ্য দিয়ে চলে গেলে সেটি আটকাতে দৌড় দেন সাইম আইয়ুব ও আমির জামাল। জামাল বল থামিয়ে সাইমের দিকে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু ঠিক তখনই ভারসাম্য হারিয়ে গোড়ালি মচকে ফেলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি, ব্যথায় কাতরাতে থাকেন এবং গোড়ালির নিচের অংশ ধরে রাখেন।
দ্রুত ফিজিও মাঠে প্রবেশ করে তার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন, কিন্তু চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে তিনি আর স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ সাইডলাইনে চিকিৎসার পরও কোনো উন্নতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে, যা পাকিস্তান শিবিরে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাইম আইয়ুবের চোটের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরও একটি হতাশার মুহূর্ত আসে পাকিস্তানের জন্য। তার বদলি হিসেবে নামা আব্দুল্লাহ শফিক সহজ একটি ক্যাচ ফেলে দেন। যদিও পরে খুররম শাহজাদ আইডেন মার্করামকে আউট করেন, তবে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের উদযাপন ছিল নিস্তেজ—সম্ভবত আইয়ুবের চোটের প্রভাবেই।
সাইম আইয়ুব সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে অন্যতম উজ্জ্বল তারকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। গত মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। তিন ম্যাচে দুটি শতক হাঁকিয়ে পাকিস্তানের ৩-০ ব্যবধানে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তাকে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে এই চোট তার অংশগ্রহণকে ঘিরে বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও সমর্থকদের দৃষ্টি থাকবে তার মেডিকেল রিপোর্টের দিকে, যা নির্ধারণ করবে তিনি কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন এবং পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ আসরে তিনি খেলতে পারবেন কিনা।
Leave a Reply