1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

চেয়ারম্যানের বিশ্রামাগার থেকে কম্বল ও টিসিবির তেল উদ্ধার

  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১ মোট ভিউ
চেয়ারম্যানের বিশ্রামাগার থেকে কম্বল ও টিসিবির তেল উদ্ধার
চেয়ারম্যানের বিশ্রামাগার থেকে কম্বল ও টিসিবির তেল উদ্ধার

নরসিংদীর রায়পুরায় পলাশতলীর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি কম্বল ও টিসিবির তেল উদ্ধার করেছেন মেম্বার ও জনসাধারণ।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার বিশ্রামাগারের একটি গোপন কক্ষ থেকে গরিবদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ৮০টি কম্বল উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে টিসিবির হল মার্ক যুক্ত এক লিটারের ৪টি তেলের বোতলও উদ্ধার করেন তারা।

এদিন সকালে পরিষদে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ তুলে ধরেন মেম্বাররা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরও একটি অভিযোগপত্র দাখিল করার কথাও জানান তারা।

সেখানে মেম্বার ও জনসাধারণ একত্রে পরিষদের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালানোর জন্য সেখানে দায়িত্বরত সচিব আফসার উদ্দিনের কাছ থেকে চাবি চান। সচিব চাবি দিতে অস্বীকার করলে মেম্বার ও সেখানে থাকা সাধারণ জনগণ চেয়ারম্যানের বিশ্রামাগারের তালা ভেঙে একটি গোপন কক্ষ থেকে ৮০ পিস কম্বল ও ৪টি টিসিবির তেলের বোতল উদ্ধার করে।

৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বলেন, চেয়ারম্যান আমাদেরকে কিছুই জানান না। সবকিছুই ওনার নিজ ইচ্ছামতো করে থাকেন। আমাকে টিসিবির ৫০টি কার্ড দেওয়ার কথা সেখানে আমাকে ১১টি কার্ড দিয়েছেন। বাকি কার্ডগুলো তিনি ১০০০, ১২০০, ১৫০০ টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করেছেন। চেয়ারম্যান বলেছিল কম্বল শেষ অথচ আজ তল্লাশি করে ৮০পিস কম্বল পাওয়া গেছে। আমার মনে হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি বিষয়টাতে নজর দিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি তল্লাশি করলে আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার বলেন, এ বছরের মার্চ মাসের দিকে প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে এক বস্তা করে কম্বল দেওয়া হয়। তখন অনেকটা গরম পড়ে যাওয়ায় কম্বলগুলো বিতরণ করিনি। ভেবেছি এবারের শীতে বিতরণ করে দেব। আর তেলের বিষয়টা আমি জানি না। কে বা কারা এটি করেছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, ১শ বা তার কিছু বেশি কম্বল পাওয়ার কথা জেনেছি। তখন আমি ওনাকে কম্বলগুলো উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসতে বলি। আমরা কম্বলগুলোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। তবে টিসিবির তেলের ব্যাপারে কিছু শুনিনি। চেয়ারম্যান সাহেবের রুমে যেগুলো পাওয়া গেছে তা সাধারণ মানুষের মাঝে ডিস্ট্রিবিউট করার কথা। সেগুলো ডিস্ট্রিবিউট না করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com