উইমেন ডেস্ক:শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক যুবককে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৮টার দিকে সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিন্টু মাঝি হাওলাদার কান্দি গ্রামের আমান উল্লাহ মাঝির ছেলে। আহতরা হলেন, মোল্লাকান্দি গ্রামের তাসলিমা বেগম ও রশিদ মাঝি। আহতরা ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের সুমন হাওলাদারদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিন্টু মাঝির ৫৮ শতক জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ সুমন হাওলাদারদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি সেই জমিতে বেড়া দেন মিন্টু। আজ সকালে সেই বেড়া ভাঙতে যান সুমন হাওলাদার, আরিফ হাওলাদারসহ ৮ থেকে ১০ জন। পরে মিন্টু ও তার পরিবার বাধা দিলে মিন্টুর মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন সুমন ও তার লোকজন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত মিন্টুর ভাই রশিদ মাঝি বলেন, আমার ভাইকে সুমন হাওলাদার ও তার লোকজন শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। ভাই হত্যার বিচার চাই। সখিপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিন্টুকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় দেলোয়ার হাওলাদার, আবুল কালাম ও সুমনের মাকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মিন্টুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply