“সংস্কৃতি সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত বন্ধন” শ্লোগানকে ধারণ করে ভারত বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রামের হোটেল সৈকত এর কনফারেন্স রুমে এই অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন ভারত বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু।
আলোচনা সভার শুরুতেই জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সদ্যপ্রাপ্ত একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. জিনবোধী ভিক্ষু। ভারত-বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ এর পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া চট্টগ্রাম শাখার সিইও বিকাশ কুমার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য রথীন সেন, ভারত বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ভজহরি ভৌমিক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের সম্বন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারত বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক কায়া বিশ্বাস (ভারত), মুর্শিদাবাদ জেলা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমানেশ বিশ্বাস বাপ্পী (ভারত), সাংস্কৃতিক সম্পাদীকা কনিকা দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কৌশিক রায়, নির্বাহী সদস্য টুকু দাস।
এসময় ভারত বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নাট্যজন, সাংবাদিক ও আবৃত্তি শিল্পী সজল কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সংগীত শিল্পী সুধামা দাস সুজন সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিভি ও বেতারের উপস্থাপক সংস্কৃতি কর্মী দিলরুবা।
নব গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সকল সদস্যবৃন্দকে শপথ পাঠ করান ভারত বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের, বিশেষ করে যুব ও তরুণ সমাজের মধ্যে জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় অপপ্রচার সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিরুদ্ধে ও দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় প্রবুদ্ধ করতে সচেতনতা সৃষ্টি করা ও অভিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন এই সংগঠন। বর্তমানে এই সংগঠনটি দুই দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কাজ করছেন।
Leave a Reply