1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

ট্যাপেন্টা সুজন এখনো বেপরোয়া, ট্যাপেন্টা বিক্রি করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালিক

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৭৪ মোট ভিউ
ট্যাপেন্টা সুজন

উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও কয়া ইউনিয়নের শুরু দিকে ভুত মোড় এলাকায় নিউ মা ফার্মেসীর মালিক সুজন দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসীর আড়ালে চালাচ্ছে ট্যাপেন্টাডল সহ প্রেসক্রিপসন বিহীন ঘুমের ওষুধ বিক্রির মহা উৎসব।

সুজন গ্রামের সাধারন ওষুধ বিক্রেতা। সে নিজের বসত বাড়ির একটি রুম ব্যবহার করে ওষুধের ফার্মেসী করে।

সুজনের এই সব ট্যাপেন্টা ডল ট্যাবলেট ও সকল ঘুমের ওষুধ সরবরাহ করে সুজনের বড় ভাই রুমন। রুমন ট্যাপেন্টা ডিলার নামেও পরিচিত এলাকায়।

ঘোটার ঘাট, বড় বাজার, হরিপুর ইউনিয়ন ও কয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের এলাকাতে ট্যাপেন্টা ডল ট্যাবলেট বিক্রিতে ডিলার হিসেবে একক বিস্তার লাভ করে।

ট্যাপেন্টা ডল ট্যাবলেট সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা হলেও লিয়াকত ভূতের ছেলে সুজন ও রুমন বাংলাদেশ সরকারের আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কিশোর থেকে শুরু করে যুবকদের কাছে বিক্রি করে যাচ্ছে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টা ডল।

দুই ভাই মিলে বর্তমানে প্রায় কোটি টাকার মালিক বনে গেছে এই ট্যাপেন্টা ডল নামক ট্যাবলেট বিক্রি করে।

এলাকাবাসি জানায়, সুজনের দোকানে তেমন ওষুধ পএ না থাকলেও তার কাছে খুব সহজেই মিলে ট্যাপেন্টা নামের এক ট্যাবলেট। সারা দিনে তার তেমন অন্যান্য ওষুধ বিক্রি না হলেও বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার ট্যাপেন্টা বিক্রির উৎসব।

আরো জানান, সুজন ও তার বড় ভাই রুমন ড্রাগের একটি লাইসেন্স ব্যবহার করে দুইটি প্রতিষ্ঠান চালন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপেন্টাসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করে আসছে। সেই ওষুধগুলো বেশি ভাগই ব্যবহার হচ্ছে নেশার জন্য।

তার দোকানে ১৪-২৫ বছরের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের বেশি দেখা যায়। তাদের হাতে কাগজে মোড়িয়ে ওষুধ দেয়। আমরা বাধা দিলে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকী দেয়।

সুজনের ফার্মেসী হরিপুর ও কয়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে হওয়ার কোন রকম সমস্যা ছাড়াই অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে ।

এলাকাবাসির প্রশাসনের কাছে দাবি, সুজনের এই ট্যাপেন্টা বিক্রি বন্ধ করে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত করতে হবে। তা হলে প্রতিটি পরিবারের সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে যাবে বলে আসংকা করছে।

উল্লেক্ষ, ট্যাপেন্টা খুব সহজলভ্য হওয়ার কারনে স্কুল, কলেজের ছেলেরা নেশার জন্য ব্যবহার করছে। হরিপুর ও কয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তার কাছ থেকে ট্যাপেন্টা কিনতে আসে।

ট্যাপেন্টার প্রকৃত মুল্য থেকে ৩/৪ গুন বেশি দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে। অপর দিকে অনেক ইয়াবা আসক্ত ব্যক্তি ইয়াবার দাম বেশি হওয়ায় এই ট্যাপেন্টাকে ইয়াবার মত ব্যবহার করে নেশা করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com