উইমেন ডেস্ক : রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আগাম টিকিট প্রত্যাশী নারীরা রোজা রেখে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে ময়লা ফ্লোরে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রেল স্টেশনে চত্বরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনে নারীদের কাউন্টারেও লম্বা লাইন। অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাৎক্ষণিক লাইন থেকে বেরিয়ে ময়লা ফ্লোরেই বেসে পড়েন অনেকে। কেউবা আবার বসার জন্য বাসা থেকে মোড়া/টুল নিয়ে এসেছেন। একজন নারীর সাথে একাধিকজনকে দেখা গেছে কাউন্টারে। তারা পালাক্রমে দাঁড়াচ্ছেন লাইনে।
পুরুষদের মতো নারীরাও টিকিট নামক সোনার হরিণের জন্য এখানে রাত্রী যাপন করছেন। যদিও টিকিট পাবেন কি না শঙ্কা রয়েছে। কারণ টিকিট না পেয়ে অধিকাংশ যাত্রীই ফিরে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য চতুর্থ দিনের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ দেওয়া হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিলের টিকিট। আজও স্টেশনে রয়েছে টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়।
বরারের মতোই টিকিট পেতে আগের দিন থেকে দুপুর থেকেই লাইনে সিরিয়াল দিয়ে রাখছে টিকিটপ্রত্যাশীরা।
কাউন্টার ছাড়াও ইন্টারনেটেও ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। সেখানেও অনেক ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে, শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে টিকিট দেওয়া হয় শুরু হয়। সেদিন দেওয়া হয় ২৭ এপ্রিলের টিকিট। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করতে যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারছেন। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।
যাত্রীর চাপ কমানোর লক্ষ্যে ঢাকা শহরের ৫টি কেন্দ্রে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানগুলো হলো- কমলাপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন)।
Leave a Reply