উত্তরের জেলা দিনাজপুরে টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে দিনের বেলা। রাতের হিমশীতল বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় এ জেলায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার এ জেলায় দেশের তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা না থাকলেও বইছে হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
ভ্যানচালক আসাদুল বলেন, সকালে যে ঠান্ডা বের হতে মন চায় না। সকালে লোকজনও কম। তাই ইনকামও কম। খুব কষ্টে আছি।
দিনমজুর আইনুল বলেন, সকালে কাজে যেতে মন চায় না, তবে দুপুরে গরম লাগে কিন্তু সেই আবার শেষ বেলায় ঠান্ডা শুরু হয়। কি যে এক যন্ত্রণায় আছি।
কৃষক আব্দুল সালাম জানান, আলু লাগিয়েছি অনেক, দিনের বেলা সেচ দিতে হচ্ছে। হালকা পানি দিয়ে আলুর পরিচর্যা করছি। আশা করছি ফলন ভালোই হবে।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে দিনের বেলায় সূর্যের তাপে স্বস্তি মিললেও রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
Leave a Reply