সত্যখবর ডেস্ক: গত ৭ই অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের সময় কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার সংগ্রামপুর গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে খেজের আলী (৬৫) এর ক্ষত বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
পিবিআই এর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তার একমাত্র পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন @ আনারুল (৪৬) নৃশংসভাবে কোদালের আঘাতে হত্যা করে পিতার লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়।
দৌলতপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর নিহত খেজের আলীর ভাই নাজির আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। যাহার মামলা নং-১৪, তারিখ-০৮/১০/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
থানা পুলিশ কোন কুল কিনারা না পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম(বার), পিপিএম মহোদয়ের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই কুষ্টিয়া জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহীদ আবু সরোয়ারের সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি চৌকস দল মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। তদন্তের সকল কলাকৌশল অবলম্বন করে জানা যায় ঘটনার সাথে আনোয়ার জড়িত।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও টানা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার স্বীকার করে যে, সে তার পিতাকে রাতের আধারে কিছু গোপন কথা বলার জন্য গোরস্থান সংলগ্ন মামলার ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে পিছন থেকে সজোরে কোদাল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে মাথার মগজ ছিন্ন ভিন্নœ হয়ে যায়। ভিকটিম পড়ে গেলে আঘাত করে বুকের হাড় ভেঙ্গে ফেলে এবং মৃত্য নিশ্চিত করে।
দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ, ধার দেনা, পারিবারিক অশান্তি, নিজ পুত্র শিশির (২০) এর দুর্ব্যবহার ইত্যাদি কারণে আনোয়ার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার পিতা খেজের আলীকে হত্যা করে মর্মে জানায়। তার দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত কোদাল পিবিআই কুষ্টিয়া টিম উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, আসামী স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করতে ইচ্ছা পোষন করে। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply