সত্যখবর ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় মথুরাপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় এক লালন শিল্পীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত পরুশু (৩১ মে) রাত ৮টায় ওই নারী লালন শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটান। এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে ওই নারী শিল্পী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত পরশু (৩১ মে) রাত ৮টায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান এলাকার মৃত শামসুল বিশ্বাসের তিন ছেলে ফটিক (৫২), টুনু (৪৪) ও বাচ্চু (৩৫) ফটিকের ছেলে ছাব্বির (২০), টুলুর ছেলে কাব্বির (২১) সহ ১০-১১ জনের একটি সন্ত্রাসী দল একই এলাকার মিনারুল ইসলামের বাড়ীতে গিয়ে পূর্বের দাবিকৃত চাঁদা চায়। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মিনারুল ইসলামের মেয়ে লালন শিল্পীকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ওই নারী শিল্পীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাঁটা ও ফোলা জখম হয়।
অভিযোগে ওই নারী শিল্পী বলেন, আমি অতি গরীবের মেয়ে, আমার বাবা খুব কষ্ট করে আমাকে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি করে, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি লালন একাডেমিতে গান প্রশিক্ষণ নেই, আমি সদ্য মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছি, পাশাপাশি বাউল গান করে কিছু অর্থ উপার্জন করে থাকি। আমি গান করে টাকা পয়সা জোগাড় করে বাবার ভিটাতে একটি একতলা বিল্ডিং বাড়ী করি। এই হিংসায় আসামীরা পরস্পর যোগসাজস করে আমার ও আমার বাবার ফসলাদির ক্ষতি করার সুযোগ খুজে। গত ৬ মাস আগে বরজ কেটে দেয়, গত ১ মে আসামীরা আমার বাবার পান বরজে আগুন লাইগাইয়া দিয়া প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে পূনরায় আমার কাছে টাকা চাই। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায় ও আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে আমার মান সম্মানের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইং গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ৮ টার সময় আসামীগণ পরস্পর যোগসাজস করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে দেশীয় তৈরী অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়ীর ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে আসামীরা আমার নিকট টাকা চাই। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সকল আসামীরা একযোগে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ফোলা কালশিরা জখম করে। আমার অবস্থা বেগতিক দেখে আমার মা আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে বিবাদীরা আমার মাকেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ফোলা কালশিরা জখম করে। এছাড়া আসামী টুনু আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় আশপাশের লোক ছুটে আসলে আসামীরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে দৌলতপুর থানার ওসি তদন্তকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে এসে পোঁছায়নি। আসলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply