কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চোর সন্ধেহে আরিফুল ইসলাম বুশ (৩২) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আরিফুল ইসলাম বুশ মহিশকুন্ডিপূর্ব পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গেলাম আলী সহ সকলে পলাতক রয়েছে।
এই বিষয়ে নিহত যুবকের পিতা গোলাম মোস্তফা ও মাতা ছানুয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে আরিফুলইসলাম বুশকে একই গ্রামের গোলাম আলী , মোস্তফা , মিঠন হোসেন, সহ আরও অনেকে বুধবার দিন গত রাত অনুমানিক তিন টার পরে আমার নিজা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে মারপিট করে। আমার ছেলেকে রাত ভোর গোলাম আলীর বাড়ির ভেতরে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে। আমার ছেলে বৃহস্পতিবার বেলা অনুমানিক নয়টার দিকে গোলামের বাড়ির ভেতরে মারা যায়। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আমার ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারি নাই। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি আমরা। এই বিষয়ে প্রত্য¶দর্শী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত গোলাম আলী আমার প্রতিবেশী, গত কাল রাত অনুমানিক তিন টার পরে গোলাম আলীর লোক জন আমিরুল ইসলাম বুশ কে চুরির অপবাদ দিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে গোলাম আলীর বাড়ির ভেতরে গাছে বেঁধে মারপিট শুরু করলে আমি বুঝতে পারি। পরে আমিরুল ইসলাম বুশ্ (৩৯) ডাক,চিৎকারে আমার বাড়ি থেকে গোলাম আলী ভিতরে যায়। এবং এই ভাবে মারপিট করতে নিষেধ করি। পরে আমাকে গোলাম আলীর লোকজন বলে আমাদের চুরি হওয়া মালামাল আপনি দেন তাহলে। না হয় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি এবং সকাল আনুমানিক আটটার পরে গোলাম আলীর বাড়িতে বুশ মৃত্য বরণ করে। এই বিষয়ে ১ নং প্রাগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশশাফুজ্জামান মুকুল বলেন, ঘটনা স্থলে এসে আমি সকল কিছু শুনলাম। আমিরুল ইসলাম বুশ মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ আমাকে এই বিষয়ে জানাই নাই। ঘটনা স্থলে এসে শুনলাম আমিরুল ইসলাম বুশকে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টি দুঃখ জনক ঘটনাটি তদন্ত করে সঠিক বিচার হওয়া উচিত। এই বিষয়ে দৌলতপুর – ভেড়ামারার অতিরিক্ত পুলিশ সুপান মহসিন আল মুরাদ বলেন, আমরা আমিরুল ইসলাম বুশ নামের এক যুবককের লাশ উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় অভিযান অব্যহত আছে।
Leave a Reply