আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎকারটি দেন।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সংবাদদাতা সামিরা হুসেইন। ইংরেজি সাক্ষাৎকারটি আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস এ-ও বলেছেন, ‘ভোটে কারা অংশ নিতে পারবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এটা (ভোট) করতে চায় কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই (আওয়ামী লীগ) নিতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত তো আমি নিতে পারি না। কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করে।’
অন্তর্বতী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেন এখনো স্বাভাবিক হয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ভালো থাকা একটি আপেক্ষিক বিষয়, যদি আপনি গত বছরের এই সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন, তবে সব ঠিক আছে বলেই মনে হয়।’
বাংলাদেশে বর্তমানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনে ক্ষমতাচ্যুত সরকারকে দায়ী করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব জিনিস ঘটুক, তা আমি সমর্থন করছি না। আমি বলছি, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, আমরা একটি আদর্শ দেশ বা একটি আদর্শ শহর নই, যা আমরা হঠাৎ করে তৈরি করেছি। এটা আমাদের দেশের একটি ধারাবাহিকতা, যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। বহু বছর ধরে দেশের এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে।’
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি জানান, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন করবেন, যা নির্ভর করবে সরকার কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বলেও মনে করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘যদি আমরা তাড়াতাড়ি সংস্কার করতে চাই, তাহলে ডিসেম্বরেই আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করব। যদি সংস্কারের আরও সময় দরকার হয়, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।’
Leave a Reply