আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৬ জনই শিশু।
শুক্রবার থেকে পাকিস্তানের ওই তিনটি প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাত হচ্ছে। শনিবার দ্বিতীয় দিনের বৃষ্টিতে প্রায় তলিয়ে গেছে খাইবার পাকতুনখোয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল। এই প্রদেশে মারা গেছে অন্তত ২৪ জন ও আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩৪ জন।
বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। আর আকস্মিক বন্যায় অসংখ্য রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শত শত ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় বা উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যখন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোশকি ও চাগাই জেলা প্রদেশের অন্যান্য অংশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গিলগিট-বালতিস্তানের দিকে যাওয়া বা সেখান থেকে আসা পরিবার, রোগী ও শিশুসহ হাজারও যাত্রী বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েছে। কারণ এই প্রদেশের বেশিরভাগ রাস্তা ডুবে গেছে। অথবা ভূমিধসের কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সড়কগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ইসলামাবাদ, গিলগিট ও স্কারদু শহরের সব অভ্যন্তরীন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া স্কারদু, শিগার, খারমং ও ঘাঞ্চে জেলার স্কুলগুলোর শীতকালীন ছুটি ১০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এসব এলাকায় ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে ও তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে গেছে। পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, এসব অঞ্চলে এ ধরনের আবহাওয়া আরও কয়েকদিন বজায় থাকবে।
খবর আল-জাজিরা
Leave a Reply