ঈশ্বরদীতে পাকশী রেললাইনে দুই যুবক দৌড়াতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তানজিত আহমেদ রাতুল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর যুবক আলিফ।
শনিবার সাড়ে ৯টায় পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিত আহমেদ রাতুল (১৮) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বনকিশোর গ্রামের মো. জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। আহত ঈশ্বরদী উপজেলার বড়ইচরা এলাকার মো. মাহাবুবের ছেলে আলিফ হোসেন। তারা দুজনই ঈশ্বরদী ইপিজেডে তিয়ানি কোম্পানির অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আহত আলিফ হোসেন বলেন, প্রতিদিনই আমরা দুই বন্ধু রাতে দৌড়াই। ইপিজেড ছুটির পরে রাতুলের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেই রাতে আমরা দৌড়াব। সেই অনুযায়ী ইপিজেড গেট থেকে দৌড় শুরু করি। একপর্যায়ে পাকশী রেললাইনের ওপরে উঠে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দিকে দৌড়াতে শুরু করি। কিছু দূর যাওয়ার পরে দেখতে পাই যে ট্রেন আসছে। কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি কোন লাইন দিয়ে ট্রেনটি আসছে।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ডান সাইডের রেললাইন দিয়ে ট্রেন আসছে, সে জন্য বাম সাইড দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম আমি আর রাতুল। রাতুল রেললাইনের মাঝামাঝি ছিল আর আমি সাইড দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনের ধাক্কায় আমি ছিটকে পড়ি। ট্রেন চলে গেলে দেখতে পাই রাতুল ট্রেনে কাটা পড়ে কয়েক টুকরা হয়ে ঘটনাস্থলে মারা গেছে। তখন আমি হতভম্ব হয়ে ওখানে বসে পড়ি। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আমাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ঈশ্বরদ রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি জিয়াউল রহমান বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানাতে নিয়ে আসি। ধারণা করা হচ্ছে, রেললাইনে দৌড়ানোর সময় ওই যুবকদের কানে হেডফোন লাগানো ছিল। তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের কোনো দাবি না থাকায় তার পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply