আপনারা জানেন বিগত কয়েক দিন যাবৎ আমি এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রশিদ গ্রুপের সুনাম নষ্ট করতে এক শ্রেণীর মানুষ অসাধু উপায় অবলম্বন করে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় গুটি কয়েক পত্র পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি’র অর্থদাতা হিসাবে তুলে ধরার মিথ্যা অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আমাদের সুনাম নষ্ট করতে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি’র সাথে যোগাযোগ আছে মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ঐ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট সংবাদে আমাকে আইলচারা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ আমি কোনদিন আইলচারা ইউনিয়ন বিএনপি’র ছিলাম না। এছাড়াও আমার ভাই সিদ্দিকুর রহমান আইলচারা ইউনিয়ন থেকে পরপর তিন বার চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।

আপনার জানেন ভিআইপি রাইচ মিল ও ফ্লাওয়ার মিলের মালিক শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ তিন চার বছর যাবৎ ব্রাক ব্যাংকের লোনের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে চোরের মত পালিয়ে বেড়াতেন। যার ফলে গত মার্চ মাসে ব্যাংক তার বন্ধকীকৃত সম্পত্তি নিলামে তুলে। আমি পত্রিকায় নিলামের নোটিশ দেখে এবং সমস্ত নিয়ম মেনে সরকারী বিধি মোতাবেক নিলামে অংশগ্রহণ করি। সর্বোচ্চ দর দাতা হওয়ার কারণে ব্যাংক আমাকে চিঠি পাঠায় এবং আমি ব্যাংকের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করায় গত জুন মাসে ব্যাংক আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। ব্যাংক মাইকিং করলো কিনা বা নিলামের সাইনবোর্ড গাছে অথবা দেওয়ালে টানালো কিনা অথবা এলাকায় ঢেড়ি পেটালো কিনা সেইটা ব্যাংকের অভ্যন্তরিন বিষয়। অথচ ব্যাংকের অভ্যন্তরিন এই বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তা প্রচার করা হচ্ছে। ভিআইপি রাইচ মিল ও ফ্লাওয়ার মিলের মালিক শফিকুল ইসলাম এর পরিবার সম্পর্কে আপনাদের ভালোভাবে খোঁজ নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।

এই পরিবার ও বংশের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই সন্ত্রাসী, মাদক বিক্রেতা, মাদক সেবী সহ এহেন খারাপ কাজ নেই, যে তারা জড়িত নেই। শফিকুল ইসলামের ভাই রফি ৭ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী এবং সে বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে। এই বংশের সদস্য জমিদার একজন মাদক সেবী, সে বিভিন্ন অপকর্মের কারণে বিভিন্ন সময়ে র‌্যাব ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো। এই বংশের অপর সদস্য লিটু এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সরবরাহকারী। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার তার বসতবাড়ী এবং অফিসে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়েছে যা এলাকার সবাই জানেন। শফিকুল ইসলামের চাচা মোতালেব হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিন বার আমার ভাই সিদ্দুকুর রহমানের কাছে পরাজিত হয়েছেন। আর সেই কারণেই আমাদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন সময়ে কুৎসা রটনা করে আসছে। আমি এই সমস্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

হাজ্বী আব্দুর রশিদ
চেয়ারম্যান
রশিদ গ্রুপ