1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

ফ্রীতে পুলিশে চাকরি পেলেন কুষ্টিয়ার ৪১ জন

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ৭১ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক: ফ্রীতে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেলেন ৪১ জন এমনটিই জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম।লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে আর মামা-খালুর জোর না থাকলে পুলিশে চাকরি পাওয়া যায় এবারের নিয়োগ তারই প্রমাণ।

আগে লোকমুখেই বেশ প্রচলিত ছিল লাখ লাখ টাকা ঘুষ ও মামা-খালু না থাকলে পুলিশে চাকরি সম্ভব নয়। তবে এবারে তার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কুষ্টিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ৪১ জনের চাকরি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তবে একেবারে বিনা পয়সায় ঠিক নয়, মাত্র ১০৩ টাকায়।

সারা দেশের মতো কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার কুষ্টিয়া থেকে নেওয়া হলো ৪১ জনকে। মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা পূরণ করা হয়েছে।মাত্র দু’দিনেই যাচাই বাছাই শেষে রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাও দেওয়া হলো।কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলম  তার কার্যালয়ের সামনে এই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেন।

জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ১৬শ৪০ জন সাধারণ, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য, এতিম, আনসার ও ভিডিপি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি কোটায় ৫৪৯ জন পুরুষ প্রার্থী ও ৫২ জন নারী প্রার্থী বিবেচিত হয়। সব পরীক্ষা শেষে ২৩৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক ও মনস্তাত্বিক পরীক্ষা শেষে পুরুষ ৩৬ জন এবং নারী ৫ জন সর্বমোট ৪১ জনকে প্রাথমিক বাছাই করা হয়।

এছাড়াও ৭ জন পুরুষ সদস্যকে অপেক্ষমান রাখা হয়।বাবা সুলতান হাসানের অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। দুই বোনের মধ্যে সুলতানা আক্তার সঞ্চিতা বড়। অভাবের সংসারের হাল ধরার মতো কেউ নেই। বাবা সুলতান হাসানের অন্যের সিএনজি ভাড়ায় চালিয়ে দিনযাপন করেন। তার পক্ষে এ সংসার চালানো দায়। ছোট বেলা থেকেই পুলিশে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল সুলতানা আক্তার সঞ্চিতা।

কিন্তু অভাবের সংসারে ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার সেই সামর্থ্য নেই তার। এবার তিনি শুনেছেন চাকরিতে কোনো ঘুষ লাগবেনা। পুলিশের এমন প্রচারণায় আবেদন করেছিলেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও উদ্বুদ্ধ করা হয় তাকে। শরীরিক ফিটনেস কিংবা মেধা দু’টিই ছিল তার। তাই আত্মবিশ্বাসও ছিল বেশ। মাত্র ১০৩ টাকায় হয়েও গেলো চাকরি।

পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম জানান, দক্ষ পুলিশ বাহিনী দরকার। আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব নিয়ে কাজ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। নতুন নিয়মে সকলের আস্থা নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সরকারসহ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা চাচ্ছেন পুলিশে স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। সেই চাওয়া পূরণেই কুষ্টিয়া পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে চাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com