সত্যখবর ডেস্ক: বান্দরবানে সমন্বিত অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্যসহ আরও ৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৩৬ জন পুরুষ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, রবিবার রাতে প্রথমে পুলিশ বান্দরবানের রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে এক নারীসহ তিনজন ও থানচি থেকে একজনকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার দুপুরে রুমার বেথেলপাড়া থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০টি গুলি, ল্যাপটপ, কমব্যাট ইউনিফর্ম, সরঞ্জামসহ দুজন সক্রিয় কেএনএফ সদস্যকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
পরে ওই বেথেলপাড়া থেকে ১৮ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব গ্রেফতার করেছে আরও একজনকে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কেএনএফের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে, রবিবার র্যাব জেলা শহরতলির শ্যারণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কেএনএফের বান্দরবান সদর অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমকে গ্রেফতার করে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রায়হান কাজেমী বলেন, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অভিযান চলমান। অভিযানে রুমার বেথেলপাড়া থেকে দুজন সক্রিয় কেএনএফ সদস্যসহ ৪৯ জনকে, বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে ৩ জন, থানচি থেকে ১ জন, র্যাবের হাতে একজনসহ দুই দিনে মোট ৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার সহকারী ক্যাশিয়ার লালতন লিয়ান বমকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাংক ও পুলিশ-আনসারের লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে তাকে মামলায় আসামি করা হবে।
উল্লেখ্য, ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
Leave a Reply