লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে সাইজ উদ্দিন দেওয়ান (৪০) নামে এক স্পেন প্রবাসী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মালেক খাঁ ব্রিজের নতুন বেড়িবাঁধের উপর এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইজ উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করা হয়। তার মৃতদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া গ্রামের মৃত নুরু দেওয়ানের ছেলে। দুই ছেলের জনক তিনি। আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী ফারুক কবিরাজ গ্রুপের সঙ্গে উপজেলা কৃষকদল নেতা শামীম গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপর ওপর আঘাত করে। প্রতিপক্ষের লোকজন শামীমের সমর্থক সাইজ উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় আবু খাঁ (৫৫) নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যদিও পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
নিহত সাইজ উদ্দিনের ভাতিজা ভাতিজা মো. ছিদ্দিক বলেন, ফারুক কবিরাজ, মেহেদী কবিরাজ, আলামিন কবিরাজ, ফারুক গাজী ও আরিফের নেতৃত্বে তার চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত অবস্থায় সাইজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ পথরোধ করে আটকে রাখে। এ কারণে সঠিক সময়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া যায়নি। পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তার আরেক ভাতিজা সোহাগ হোসেন বলেন, আমার চাচা সাইজ উদ্দিন ৮-১০ বছর ধরে স্পেন প্রবাসী। আগামী ১২ এপ্রিল স্পেন যাওয়ার কথা ছিল। তিনি শ্বশুর বাড়িতে বিদায় নিতে যান। দুপুরে সেখান থেকে আসার পথে দুপক্ষের হামলার মধ্যে পড়ে নিহত হন। তাকে হত্যার উদ্দেশে ফারুক কবিরাজ ও তার গ্রুপের সদস্যরা কুপিয়েছে। তিনি বিএনপি সমর্থক হলেও কোন পদ-পদবি নেই।
সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) মো. জামিলুল হক বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একজন নিহত এবং ১০-১২ জনের মতো আহত হয়েছে। আমিসহ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছি। জড়িতরা পালিয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ আহত হয়েছে। অভিযান চলছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, ওই এলাকায় বিএনপির সবগুলো কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে আগেই। সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় বিএনপির কোনো দায় নেই।
Leave a Reply