সত্যখবর ডেস্ক: খুলনায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলায় রাফি ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাফি ইসলাম ঢাকার মীরপুরের কাফরুল সেনপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এই রায় প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর সাথে রাফি ইসলামের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য রাফি ২০২২ সালের ১৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ খুলনার সোনাডাঙ্গার একটি হোটেলে অবস্থান করে। এসময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে ও বিয়ের বিষয়ে কথা না বলেই ঢাকায় ফিরে যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মেয়েটির পরিবার ঢাকায় গিয়ে রাফির বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেন। তারা ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাদের খুলনায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে-২০০০ এর ৯ (১)/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে সাতজনকে আাসামি করে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সোহেল রানা আসামি রাফিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মামলার প্রধান আসামি রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
Leave a Reply