ফুটবলে সাত সংখ্যাটাকে আইকনিক রুপ দিয়েছে জার্মানি। বিশ্বকাপ ফুটবলে সর্বোচ্চ শিরোপাধারী ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারানোর স্মৃতি ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের আজও কাঁদায়। এরপর ফুটবলবিশ্বে যে কোনো ম্যাচে সাত গোল মানেই ফিরে আসে সেই দৃশ্যপট। আর যদি সেই দৃশ্যপট নিয়ে আসে স্বয়ং জার্মানরা, তাহলে তো ব্রাজিলকে ছেড়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি প্রতিপক্ষের জালে আবারও সাত গোল দিয়ে গড়েছে এই কীর্তি।
ম্যাচের ফলই বলে দিচ্ছে কতটা একপেশে লড়াই ছিল। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে বসনিয়াকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে জার্মানি। দাপুটে এ জয়ের পথে জার্মানির টিম ক্লেনডিন্সট ও ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজ জোড়া গোল করেছেন। একটি করে গোল দেন জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্টজ ও লেরয় সানে।
ম্যাচের মাত্র ৭৯ সেকেন্ডেই লিড নেয় ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি দলটি। ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন জামাল মুসিয়ালা। বিরতির আগে আরও একবার জার্মানদের গোল উৎসবে মাতান ক্লেনডিন্সট। ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজের বাড়ানো বল ধরে তিনি কোনাকুনি শটে সফল লক্ষ্যভেদ করেন। বিরতির আগেই তিন দফায় পিছিয়ে পড়া বসনিয়াও ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও দুটি গোল হজম করে বসনিয়া। ম্যাচের ৫০ ও ৫৭ মিনিটে গোল দুটি করেন ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজ। ম্যাচের বাকি সময়টায় জার্মানদের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয় দেশটি। ম্যাচে ব্যবধান কমানো তো দূরে থাক, উল্টৈা ম্যাচের ৬৬ মিনিটে আসে ম্যাচের ষষ্ঠ গোল। হাভার্টজের পাস ধরে দারুণ দুই ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত গোল করেন সানে। ঝাঁপিয়ে পড়ে গতি কমালেও আটকাতে পারে নি বসনিয়া গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ব্রাজিলের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা গোলটি করেন ক্লেনডিন্সট। ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড অ্যান্টোনিও রুডিগারের উঁচু করে গোলমুখে বাড়ানো থ্রু বল স্লাইড করে টোকায় জালে পাঠান তিনি। এতেই জার্মানির নিশ্চিত হয় ৭-০ গোলের জয়।
Leave a Reply