সত্যখবর ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনার একমাত্র আসামি সামাদ শেখকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
ছামাদ শেখ ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের চর বলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তিনি বিবাহিত ও তিন সন্তানের বাবা। পুলিশ সামাদ শেখকে বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী পাশের এলাকা থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি এলে অভিযুক্ত সামাদ শেখ মেয়েটির মুখ আটকে রাস্তার পাশের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। পরদিন মেয়েটি ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তার এক দাদীকে জানায়। দাদী বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে জানালে বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মেয়েসহ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেয়।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদ্যুত কুমার সরকার বলেন, সামাদ শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে সামাদ শেখ ওই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply