অ্যাডিলেড ওভালে অধিনায়কত্বের দারুণ উদাহরণ স্থাপন করলেন প্যাট কামিন্স। তার অসাধারণ পাঁচ উইকেটের ঝড়ে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে বর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।
শেষ দিনে ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রানে পিছিয়ে পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে শুরু করেছিল। কিন্তু শুরুতেই মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রিশভ পান্ত দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর ভারতের লোয়ার-অর্ডারকে একের পর এক শর্ট বলের মুখোমুখি করেন প্যাট কামিন্স। আর সেই কৌশল সফল হয় দ্রুতই।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শর্ট বল সামলাতে একবার বাউন্সারকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও, বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
নিতীশ রেড্ডির উপর তখন ইনিংস টেনে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে। কিন্তু কামিন্সের শর্ট বলের বিপক্ষে হারশিত রানাকে ফিরতে হয় অস্বস্তিকর ভঙ্গিতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর বুমরাহকে সঙ্গী করে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যান রেড্ডি। স্কট বোল্যান্ডের বলে মিড অনের উপর দিয়ে একবার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতকে লিড এনে দেন তিনি। কামিন্সের শর্ট বলও একবার ছক্কায় পরিণত করেন। তবে শেষ পর্যন্ত কামিন্সের এক বাউন্সার রেড্ডিকে ফ্লাই স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে।
এই উইকেটের মাধ্যমে কামিন্স তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম পাঁচ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। অস্ট্রেলিয়ার জয় তখন প্রায় নিশ্চিত। মোহাম্মদ সিরাজ মাঠে নেমেই দর্শকদের দুয়ো ধ্বনি শুনতে পান ট্রাভিস হেডের সঙ্গে তার বিতণ্ডার কারণে। প্রথম বলেই ক্যারি তার ক্যাচ মিস করলেও, এরপর বোল্যান্ডের বলেই হেডের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৯ রান। ওপেনাররা সহজেই সেই লক্ষ্য অতিক্রম করে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ১৩টি দিবা-রাত্রির টেস্টের মধ্যে ১২তম জয় এনে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৮০ (নিতীশ রেড্ডি ৪২; মিচেল স্টার্ক ৬/৪৮) ও ১৭৫ (নিতীশ রেড্ডি ৪২; প্যাট কামিন্স ৫/৫৭)
অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৭ (ট্রাভিস হেড ১৪০, মার্নাস লাবুশানে ৬৪; জাসপ্রিত বুমরাহ ৪/৫৯, মোহাম্মদ সিরাজ ৪/৯৮) ও ১৯/০
অস্ট্রেলিয়া জয় পেল ১০ উইকেটে।
Leave a Reply